গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছড়াল গোঘাটের কামারপুকুর কলেজেও। শনিবার সেখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) দুই গোষ্ঠীর সমর্থকদের মারামারিতে জখম হন ন’জন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতা আতাউল হক গোষ্ঠীর সঙ্গে তপন মণ্ডল গোষ্ঠীর অনুগামীদের সংঘর্ষ হয়। সভাপতি হন তপনবাবু। ওই কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় টিএমসিপি। সদস্যেরা বেশির ভাগই আতাউলের অনুগামী বলে পরিচিত। সকাল থেকেই কলেজে দুই গোষ্ঠী ছাত্রদের মধ্যে হুমকি-পাল্টা হুমকি চলছিল। বাইরে বোমাও ফাটে। তার পরেই দু’পক্ষের মারামারি বাধে।
তপন-গোষ্ঠীর অনুগামী তৃণমূলের ছাত্র নেতা সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরাই তৃণমূলের প্রকৃত ছাত্র সংগঠন। আতাউল হকের নেতৃত্বে ওরা সন্ত্রাস করে ছাত্র সংসদের দখল নিয়েছে। আমাদের অনেকেই কলেজে ঢুকতে পারেনি। তপনবাবু সভাপতি হওয়ায় আমরা সকলে কলেজে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা বহিরাগতদের নিয়ে হামলা করল। আমরা প্রতিবাদ করেছি।” পক্ষান্তরে, আতাউল-গোষ্ঠীর অনুগামী ছাত্রনেতা তথা ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি রাজেশ রায় বলেন, “ওরা এ দিন ছাত্র সংসদ দখল করতে চেয়েছিল। ছাত্ররা বাধা দিয়েছে। ঘটনার কথা রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব।” শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না জানিয়ে তপনবাবু বলেন, “ছাত্রদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। সেখানে আতাউল হককেও ডাকা হবে।” কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ভরতকুমার পাল বলেন, “নিজেদের সমস্যা নিয়ে কলেজের মধ্যেই মারপিট করছিল ছাত্ররা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ডাকতে হয়।” |