দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে মৃত্যুমিছিল। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের বলি
|
আসমা আসাদ |
অসংখ্য মানুষ। সম্প্রতি রাসায়নিক অস্ত্র হানার অভিযোগও উঠেছে। এত কিছুর মধ্যে একটুও বদলায়নি প্রেসিডেন্টের স্ত্রী আসমা ও সন্তানদের বিলাসবহুল জীবন। ৩৮ বছরের আসমা ইদানীং রয়েছেন একটি সুরক্ষিত বাঙ্কারে। সেখান থেকেই দামি পোশাক, গয়না, খাবার-দাবার ক্রমশ দীর্ঘায়িত হচ্ছে তাঁর কেনাকাটার তালিকা। তাঁর তিন সন্তানের মুখে রোচে না দেশের খাবার। আনানো হয় পশ্চিমী খাবার। গত বছর আসমার অনলাইন কেনাকাটার কিছু ই-মেল ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই তালিকায় ছিল পাঁচটি ঝাড়বাতি-সহ তিন কোটি টাকার বিলাসবহুল বস্তু।
অ্যান্ড্রু টাবলার নামের এক মার্কিন গবেষক সিরিয়ায় আসমা-আসাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। আসমাকে কাছ থেকে দেখার সুবাদে তিনি বলেন, “এক দিকে আসমা অত্যন্ত আধুনিকা, আরবের রাজনৈতিক নেতার স্ত্রীদের থেকে অনেকটাই আলাদা। অন্য দিকে তিনি স্বামীর পদকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে রানি ভাবতে ভালবাসেন ।”
২০০১-র গোড়ায় বাশারের সঙ্গে গোপনে বিয়ে হয় আসমার। তখন থেকেই জীবনযাত্রার ধারা বদলাতে শুরু করেন লন্ডনের কিংস কলেজের প্রাক্তন ছাত্রীটি। বাশারের প্রাক্তন উপদেষ্টা আয়মান আবদেল নূরের মতে, “আসমার হৃদয় বলে কোনও বস্তুই নেই। নিজের সৌন্দর্যই তাঁর একমাত্র চিন্তা।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অফিসারও বলেছেন, “আসমা কখনও খবরের কাগজ বা চ্যানেল দেখেন না। অশান্তির খবর পেলে দুশ্চিন্তা হবে, প্রভাব পড়বে সৌন্দর্যে। তাই কেনাকাটা, রূপচর্চা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।” আয়মান আরও বলেন, “আসমার বিশ্বাস আগামী অনেক বছর সিরিয়া শাসনের দায়িত্বে থাকবে তাঁরই পরিবার। তাই বিলাসিতা ছাড়া অন্য কিছুই তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।” |