বর্ষীয়ান নেতাকে সভাপতি পদে চেয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের কাছে চিঠি পাঠালেন তৃণমূলের রায়না ১ পঞ্চায়েত সমিতির সাত সদস্য। আজ, সোমবার ওই সমিতির বোর্ড গঠন হবে। কিন্তু সভাপতি কে হবেন, সে ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেননি তৃণমূলের নেতারা। দলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ ঘনিষ্ঠ প্রবীণ নেতা শেখ আজিজুল বারিক ও ব্লক সভাপতি শৈলেন সাঁইয়ের অনুগামী হিসেবে পরিচিত শেখ আনোয়ার আলির মধ্যে এই পদের জন্য ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
২৮টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে জিতে এই প্রথম বার রায়না ১ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে তৃণমূল। তার পর থেকেই সভাপতির পদটি নিয়ে দলে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। স্বপন দেবনাথের মতে, ওই পদের যোগ্য দাবিদার আজিজুল বারিক। ১৯৭৮ সালে রাজ্যে প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে হিজলনা গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে তিনি দলের সঙ্গে রয়েছেন। রায়নায় সেই সময়ে সিপিএমের একচ্ছত্র আধিপত্যের মধ্যেও তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেছেন তিনি। ২০০৮ সালে রায়না ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি জয়ী হন। তাই দলের একাংশের মতে, আজিজুল বারিকই সভাপতি পদে যোগ্য প্রার্থী। সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির সাত তৃণমূল সদস্য এ কথা জানিয়েই মুকুলবাবুকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
দলের ব্লক সভাপতি শৈলেনবাবুর যদিও দাবি, দিন কয়েক আগে জয়ী সদস্যদের নিয়ে বর্ধমানে দলের সদর দফতরে একটি বৈঠক করা হয়। সেখানে ১৫ জনের মধ্যে ১১ জনই শেখ আনোয়ার আলিকে সভাপতি করার পক্ষে হাত তোলেন। কিন্তু জেলা সভাপতি স্বপনবাবু তা মানতে চাননি। তাই আজ বোর্ড গঠনে ওই পদের জন্য ভোটাভুটির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। স্বপনবাবু অবশ্য জানান, শেখ আজিজুল বারিককে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য দলের তরফে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবারই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে বিধায়ক ও সাংসদ গোষ্ঠীর মধ্যে কাজিয়ায় অশান্ত হয়েছিল হুগলির চণ্ডীতলা। সোমবার রায়নাতেও গোলমালের আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |