কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ এবং হলদিবাড়ির মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের জন্য তিস্তা নদীতে সেতু তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার হলদিবাড়ি এবং মেখলিগঞ্জ দু’জায়গাতে গিয়েই একই আশ্বাস দিয়েছেন পার্থবাবু।
পুরসভা নির্বাচনের প্রচার প্রস্তুতির জন্য এ দিন কোচবিহারের হলদিবাড়ি, মেখলিগঞ্জ এবং জলপাইগুড়ির আলিপুরদুয়ারে কর্মিসভা করেছেন শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থবাবু। তিনি বলেন, “এতদিন শুধু সেতুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যজুড়ে উন্নয়নের কাজ শুরু করেছেন। মেখলিগঞ্জ-হলদিবাড়ি যোগাযোগের জন্য তিস্তা নদীতে সেতু তৈরিতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন। কাজ শুরু করতে নথিপত্র প্রস্তুতির কাজ চলছে। শীঘ্রই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যাবে।” মেখলিগঞ্জের সভায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “মেখলিগঞ্জ মুহকুমার অংশ হয়েও হলদিবাড়ি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। ৮৬ কিলামিটার রাস্তা ঘুরে জলপাইগুড়ি হয়ে হলদিবাড়ির মানুষ মেখলিগঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিস্তায় সেতু হলে ওই সমস্যা মিটবে।”
কোচবিহার জেলার এই দুই পুরসভাতেই বামেরা ক্ষমতায় রয়েছে। এ দিন দুপুরে হলদিবাড়ি রবীন্দ্রভবনে কর্মিসভা করে মেখলিগঞ্জে যান পার্থবাবু। দুই পুর এলাকার পরিকাঠামো নিয়ে বিস্তর অভিযোগ জানিয়েছেন। হলদিবাড়িতে দলীয় কর্মীদের পার্থবাবু পরামর্শ দিয়ে বলেন, “মদ্যপান করবেন না। কেউ মস্তানি দেখানোরও চেষ্টা করবেন না।” সম্প্রতি দলের একাংশ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ ওঠে। সে প্রসঙ্গেই তিনি ওই মন্তব্য করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিন কর্মিসভার মঞ্চেই হলদিবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির এক প্রতিনিধি দল গিয়ে পুরকর কমানোর দাবি জানান শিল্পমন্ত্রীর কাছে। পাথর্র্বাবু তাদের দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্য দিকে আলিপুরদুয়ারের পুরসভা হলে কর্মিসভায় পার্থবাবু আলিপুরদুয়ারের পৃথক জেলার দাবিকে সামনে নিয়ে এসেছেন। সমাবেশে উপস্থিত দলের কর্মীদের উৎসাহিত করতে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের ফল এখানে ভাল হয়নি। আলিপুরদুয়ার পৃথক জেলা ঘোষণার লক্ষ্যে এটাই শেষ সুযোগ। পুর নির্বাচনে ফল ভাল হলে দলনেতৃত্ব খুশি হবেন।” পুরসভা নির্বাচনের সময় পুলিশ প্রশাসনকেও নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ কর্মীদের বলছিস, আপনারা কেন্দ্র বা পুরোনো কোনও সম্পর্কের কথা মাথায় না রেখে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করুন।” কেন্দ্র এবং পুরোনো সম্পর্ক বলতে কংগ্রেস এবং বামেদেরই পার্থবাবু বোঝাতে চেয়েছেন বলে তৃণমূলের জেলা নেতারা জানিয়েছেন। |