ছৌ নাচ নিয়ে একটা ফিচার বানাতে গিয়েছিলাম সরাইকেলায়। সরাইকেলার রাজপরিবার ছৌ নৃত্যকলাকে উৎসাহ দিতেন। সামন্ত রাজাদের পাইক-বরকন্দাজদের শরীরচর্চা থেকেই ছৌ নৃত্যকলার উদ্ভব এ রকম একটা মতবাদ আছে।
রাজার সঙ্গে দেখা করব। জোড়া লোহার গেটের এক পাটি ভেঙে আছে। সিংহের গায়ে লুঙ্গি শুকোচ্ছিল। পরির একটা ডানা ভাঙা, অন্য ডানায় আলকাতরায় তির-ধনুক আঁকা। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ভোটের প্রতীক চিহ্ন।
ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য
রাজবাড়িটা জীর্ণ। প্লাস্টার খসে গেছে। এক পাশে লোহার ঘোরানো সিঁড়িটা মরচে জর্জরিত। রাজা লুঙ্গি পরা, খালি গায়ে, একটা তরবারি দিয়ে পিঠ চুলকোচ্ছিলেন।
সরাইকেলায় একটা ছৌ অ্যাকাডেমি আছে। আমি প্রথমে ওই অ্যাকাডেমিতেই গিয়েছিলাম। ওখান থেকে এক জনকে সঙ্গে নিয়ে রাজবাড়িতে এসেছিলাম। ছেলেটা বলেছিল পুরো বাড়িতে এখন একাই থাকেন রাজা বিক্রম বাহাদুর সিংহ। শরিকরা সব যে যার অংশে তালাচাবি লাগিয়ে দেশান্তরি। কেউ বড় চাকরি করে, কেউ রাঁচিতে ব্যবসা, কেউ দিল্লিতে। রাজবংশের এই এক জনই পড়ে আছেন এখানে, ছোটবেলা থেকেই নিজেই ছৌ নাচতেন। ওঁর স্ত্রী গত। ছেলেটা পাগল। আমার সঙ্গী ছেলেটা হাত জোড় করে রাজামশাইকে আমার আগমনের উদ্দেশ্য জানাল। রাজা আমাকে বললেন, প্লিজ বি সিটেড। সোফা দেখিয়ে দিলেন। হরিণের চামড়ার আচ্ছাদন। রোঁয়া উঠে গেছে। সামনে শ্বেতপাথরের একটা গোল টেবিল। ওখানে ‘হাজা হর’ নামে একটা চ্যাপটা টিনের কৌটো। দাদ-হাজা-চুলকানির সস্তার মলম। দেওয়ালে কয়েকটা হরিণের শিং। ঘরের কোণে কয়েকটা বর্শা, দেওয়ালে একটা পেতলের ঢাল, কয়েকটা তলোয়ার, পূর্বপুরুষদের কয়েকটা অয়েল পেন্টিং, পাশে হনুমানের ছবিওয়ালা ক্যালেন্ডার।
হোয়াট ডু ইউ নো অ্যাবাউট সরাইকেলা স্কুল অব ছৌ ডান্স?
রাজা একটা হাওয়াই শার্ট গলাতে গিয়ে প্রশ্নটা ছুড়লেন। আমি আমতা আমতা করে বললাম, পুরুলিয়া-ময়ূরভঞ্জের মতো এতটা বীর রসের নাচ নয় এটা, কৃষ্ণলীলাও থাকে, কখনও মুখোশ ছাড়াও এই নাচ হয়...
দ্যাট্স এনাফ। বলুন কী জানতে চান? বাংলা সমঝ লেতা হ্যায়। বোলনা ভি আতা হায়। আই অ্যাম ফ্লুয়েন্ট ইন ওড়িয়া অলসো। সরাইকেলা ওয়াজ পার্ট অফ ওড়িশা। পিপ্ল নো ওড়িয়া। আপ বেঙ্গলি মে পুছিয়ে, ম্যায় হিন্দি মে অ্যান্সার দুঙ্গা।
রাজা বড় ভাল। অনেক ক্ষণ কথা হল। ছৌ-এর জন্য ওঁর বাপ-ঠাকুরদার অবদানের কথাও বললেন। তাঁরা নিজেদের গলা থেকে খুলে মুক্তোর মালা পরিয়ে দিতেন ভাল ভাল ছৌ-শিল্পীদের গলায়। পাইক-বরকন্দাজরা প্যারেড না করে ছৌ নাচত ওই মাঠে। আঙুলটা যে দিকে দেখালেন ও দিকে হাট বসেছে।
পাশের ঘর থেকে চিৎকার আসছে। অ বাপা...কড়অ হেলা? মোতে কলাপানি দে...। মোতে কলাপানি দে...।
মাই সন। থোড়া অ্যাবনর্মাল হ্যায়। রাজা চুপ করলেন।
একটু পর আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন পিয়াস লাগা হায় না? ডোন্ট ইউ ফিল থার্স্টি? কোল্ড ড্রিংক পিয়েঙ্গে?
রাজবাড়িতে তো কিছু খেতেই হয়। রাজভোগ না হল, অন্য ভোগ-ই হোক।
আমি ঘাড় নাড়ি।
আমার সঙ্গের ছেলেটাকে রাজা হুকুম করলেন তিনঠো লে আও। আর আমাকে হুকুম করলেন পে হিম থার্টি রুপিজ...।
ছেলেটা চলে যেতে রাজা বললেন, আমি এক জন বেগার কিং। বুঝলেন? ভিখারি রাজা। বি এসসি পড়তাম টাটানগরে। কমপ্লিট হল না। আই ওয়াজ ইন লাভ উইথ ছৌ। রাজা কার্তিক হতে পারে, মহাদেব হতে পারে, কৃষ্ণ হতে পারে, কিন্তু টাটার কারখানায় লেবার হতে পারে না। আমার কাজিন ব্রাদাররা সব বিজনেসম্যান, কেউ ল-ইয়ার...। আমি ছৌ-তে ফেঁসে গেলাম।
কোল্ড ড্রিংক এল। রাজা বললেন, আমার সুগার আছে। ইনসুলিন নিই। নিজেই। আমারটা ছেলেকে দেব। ছেলেটা ভালবাসে। কিনে দিতে পারি না। বোতলটা ছেলের হাতে দিয়ে এসে বললেন, এ বার ঠান্ডা হবে। ওর মাদার টাং ওড়িয়া। আমার ওয়াইফ ছিলেন ওড়িয়া লেডি। ওড়িশি জানতেন ভাল। ছৌ-এর সঙ্গে ওড়িশি মিলজুল করিয়েছি আমি।
রাজা বললেন, আসছে মাসে ছৌ অ্যাকাডেমি ছৌ-শিল্পীদের সার্টিফিকেট দেবে। আসবেন। আসল ফেলিসিটেশন তো হয় এখানে। কিংস প্যালেস-এ। আমি মুক্তামালা পরিয়ে দিই।
কিং প্যালেস-এ গিয়েছিলাম। বাইরে একটা ছোট প্যান্ডেল। ছোট মঞ্চ। ওখানে ভাড়া করা সিংহাসনে রাজা বসে আছেন। পাজামা, শেরওয়ানি। গলায় অনেক মুক্তোমালা। ঘোষক এক জন এক জন করে ছৌ-শিল্পীদের ডাকছেন। রাজা নিজের গলা থেকে একটা করে মালা খুলে নিয়ে কুর্মি-মাহাতো-ডোম শিল্পীদের গলায় পরিয়ে দিচ্ছেন। কাছে গিয়ে বুঝলাম, ওগুলো পুঁতির। নেহাত প্লাস্টিক।
রাজপ্রাসাদ থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছিল, মোতে ছাড়ি দিঅ। দরজা খুলঅ ম...। মু দেখিবি।
রাজপুত্র কাঁদছে।

• অষ্টমীর দিন খুব আমোদ, বন্ধুদের নিয়ে ওয়াইল্ড নাইট-আউট: একদম আউট হওয়া
অবধি প্রচুর মদ গেলার প্ল্যান। অর্ডার দিয়ে, অবাক হয়ে শুনলেন, অষ্টমী এখন ড্রাই ডে!
• চুটকি বলে সঙ্গিনীকে হাসাচ্ছেন। শেষ পাতের জন্য দারুণ
ডাম্পলিং-এর টুকরো আর ফ্রেশ লাইম সোডার তলানি
বাঁচিয়ে রেখেছেন। স্মার্ট ওয়েটার এসে সবার প্লেটের সঙ্গে
আপনারটাও ‘ক্লিয়ার’ করে নিয়ে চলে গেল।
• ‘কিছুতেই ইংরিজি বলব না’ পণ করে রেস্তোরাঁয়
ঢুকলেন। তার পর ‘ফর্ক’ চাইতে বললেন,
‘একটা কাঁটা দিন তো’। ওয়েটার অমনি দৌড়ে গিয়ে
প্লেটে করে বিশাল একটা মাছের কাঁটা নিয়ে এল!

• পুজোর ঢের আগে কলকাতার এক ক্লাব জানালেন এ বছরের পুজো-চমক সালংকারা মডেল প্রতিমা। দেশের নামকরা এক গয়না-প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া, চতুর্থীর উদ্বোধন থেকে বিসর্জনের আগে অবধি চার কোটি টাকার সোনার গয়না পরানো থাকবে সপরিবার দুর্গা-সহ প্যান্ডেলের অজস্র মডেল প্রতিমার গায়ে। আসলি সোনায় প্রতিমার জলুসও বাড়ল, উদ্যোক্তাদের ছাতিও চওড়াতর হল, গয়না কোম্পানিরও লেটেস্ট ডিজাইন-রেঞ্জের ব্যাপক প্রোমো হল, ভাল কায়দা। পিউরিটান ভুরু-কুঁচকে: গয়না অ্যাদ্দিন দোকানে ম্যানিকিন-দেহ বা হোর্ডিংয়ে মডেল-গা আলো করে থাকত, এ ঘোর কলিতে দেবদেবীরাই মডেল! পুজো দেখতে আসা মায়েদের হার্ট যুগপৎ হর্ষে-বিস্ময়ে ধড়াস, লক্ষ্মীর ওই বাজুবন্ধটা দ্যাখ, দুর্গার সীতাহারটা, উফফ...। সদ্য-টিন ছেলে গণেশের বাইসেপে জড়োয়া ব্যান্ড দেখে জাম্পিং ঝপাক, শুধু তাবৎ বাবারা শুকনোমুখ, গয়নার জেল্লাদার দর দেখে কাত। অ্যাড-জগতে নবদিগন্ত উন্মোচিত হল, পুজোয় গুটখা থেকে গামবুট-মেকার সবাই স্পনসর। কার্তিকের টুকটুকে ঠোঁট অমুক জর্দা, সরস্বতীর ফর্সা গা তমুক ফেয়ারনেস ক্রিম, অসুরের পায়ে তমুক মজবুত স্নিকার! ইঁদুর-ময়ূর আদি সব বাহন-স্পনসর জম্পেশ গাড়ি। অসুরের খাঁড়ার গায়ে লেখা: ‘উন্নত মানের ধারালো অস্ত্রে আপ টু ৪০% ছাড়’, তারা জ্বলজ্বল, কন্ডিশন্স অ্যাপ্লাই!

• প্রবাদপ্রতিম গায়ক-সুরকার বব ডিলান বললেন, গত ৫০ বছর ধরে তিনি তাঁর ভক্ত-শ্রোতাদের হদ্দ বোকা বানিয়েছেন, তিনি আসলে গান গাইতেই জানেন না, অর্ধেক সময় অর্থহীন কিছু শব্দ আউআউ আওড়ান, আর তাঁর গানের লিরিক্স-এর তুঙ্গ জনপ্রিয়তা থাকলেও আদৌ কোনও মানে নেই, বাচ্চারাও লিখতে পারে। কিংবদন্তির বোমা-কনফেশনে ভক্তরা ভ্যাবাচ্যাকা। কিন্তু রোল মডেলের মুখ-নিঃসৃত বচনমাত্রেই মডেল, ভাববার মানে নেই। বরং ভাবা যেতেই পারে, বর্ষীয়ান আইকনেরও ভীমরতি হয়। বা, হতেই পারে এটি ডিলানোচিত গিমিক, প্রচারের নব স্ট্র্যাটেজি, য়াব্বড় সেলেবরা মাঝেমধ্যেই যা নিয়ে থাকেন। যাঁর প্রকাশিতব্য জীবনীর নাম ‘বাই দিস বুক অ্যান্ড দ্য শ্যারাড উইল কন্টিনিউ’, তাঁর বেমক্কা মন্তব্যের যাথার্থ্য নিয়ে ধন্দ লাগে বইকী! সবচেয়ে বড় কথা: শিল্পীর তাবৎ কীর্তির চূড়ান্ত বিচারক আদৌ তিনি নিজে নন। নিজ শিল্প সম্পর্কে তাঁর মতামতের মূল্য আছে নিশ্চয়ই, কিন্তু বহু সময় বোদ্ধা ভক্তকুলের বিশ্লেষণ তার চেয়ে অনেক উঁচু দরের। তত্ত্ব বলে, অথর ইজ ‘ডেড’। তা যদি বাড়াবাড়ি মনে হয়, ডিলান অন্তত ‘সাইলেন্ট’ থাকুন।

৪.৬
যত কোটি টাকা দামের নতুন
মডেল ‘রেইথ’ ভারতের বাজারে
আনল ব্রিটিশ বিলাসবহুল
গাড়ি-নির্মাতা রোল্স রয়েস
৮০০০০০
পশ্চিম বঙ্গে বছরে পেঁয়াজের
চাহিদা যত মেট্রিক টন। ২০১২-’১৩
অর্থবর্ষে উৎপাদন হয়েছে
৩০০০০০ মেট্রিক টন
১৪৮১০৫
ইংল্যান্ডে একটি শিশুকে আঠারো
বছর বয়স পর্যন্ত মানুষ করতে কোনও দম্পতির বার্ষিক খরচ যত পাউন্ড। সিঙ্গল পেরেন্ট-এর ক্ষেত্রে ১৬১২৬০ পাউন্ড
৩৭.৫
যত মিলিয়ন পাউন্ড দরে
ইংল্যান্ডের চেশায়ার-এর বিলাসবহুল বাড়ি বিক্রি করে দিলেন ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো

৩৩

২০১২-১৩ অর্থবর্ষে যত মিলিয়ন মার্কিন ডলার রোজগার করলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
তিনি এই মুহূর্তে হলিউডে অভিনেত্রী হিসেবে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পান
৫৪০২০০০০
২০১৩-র প্রথম তিন
মাসে ভারতে মোট যত
জন অনলাইনে
ভিডিয়ো দেখেছেন

৩৩.৬
এ বছর থেকে যত মিলিয়ন মার্কিন
ডলার হল ইউ এস ওপেন-এর পুরস্কারমূল্য। গত বছর অবধি
ছিল ২৫.৫ মিলিয়ন

২৩
এ বছর স্বাধীনতা দিবসে যত
জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত
আসামিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা
করল রাজ্য সরকার

৪০০
চলতি অর্থবর্ষে ভারতে
আইফোন-এর বিক্রি যত
শতাংশ বেড়েছে


সী


চৌ
ধু
রী
কাজের দুপুরে মেয়ো রোড জুড়ে দারুণ থিয়োরি ক্লাসটা
ইটাহারে তারই প্র্যাকটিকালের নিদারুণ পরাকাষ্ঠা!
টুকতে না দিলে অপমান... মার, জানে সব টিচারই তা
নেতাগিন্নির পরীক্ষা মানে পেশি আর দ্বিচারিতা।
আদা-ব্যাপারিরা জাহাজ খোঁজে না। শুধু ইতিউতি তাকায়।
সত্তর ছোঁয়া ডলার। এখন ধস নেমে গেছে টাকায়।
প্যান্ডোরা তার বাক্স খুললে
বাঁধ ভেঙে যাবে ডিজেল মূল্যে
পড়ে থাকে শুধু আশাটুকু... মানে পাতি জনগণ যা খায়!
লেটারিং বেটারিং
Love-এর গুড় পিঁপড়েয় খায়




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.