এরা এসে বসে আমার জীবনে। আমায় দিয়ে যায়
আলোকিত মুহূর্ত। বললেন ডা. অপূর্ব ঘোষ |
হঠাৎই চোখে পড়েছিল পাখিটাকে। টুকুরটুকুর করে একমনে গাছের গায়ে লম্বা ঠোঁটটা ঠুকে চলেছে। দেখতে দেখতে দিব্যি তৈরি হয়ে গেল কাঠঠোকরার বাসা। সেখানে সে ক’দিন থাকে, কখন থাকে, কিছুই জানা গেল না। আবার এক দিন, হঠাৎই, সকালবেলায় দেখা গেল, কোটরের মুখে দুটি ছোট্ট ছোট্ট লাল ঠোঁট, পিছনে দু’চিলতে সবুজ। আর তার পরেই উড়ে এল তাদের জননী। মা-টিয়া গাছের গায়ে বসে তার বাচ্চা দুটির দিকে মুখ বাড়িয়ে দিল। ফিডিং টাইম। এমনি করে দিন যায়। কখনও দেখা যায়, মা-টিয়া কোটরে ঝুঁকে আছে, কখনও ঘাড় ফুলিয়ে পাহারা দিচ্ছে। কিছু দিন পরে এক দিন দেখা গেল, ওই কোটরেই গম্ভীর মুখে বসে আছে এক পেঁচা। |
ছবিগুলো তুলেছিলাম নেহাতই মনের খেয়ালে। এখন সে-ছবি দেখতে দেখতে হঠাৎ মনে হল, যেন নিজের জীবনেরই কতকগুলো স্ন্যাপশট। পেশায় ডাক্তার। ছোটদের চিকিৎসা করি। যে জীবনের পরিসরে বেঁচে আছি, সেটি তৈরি করে দিয়েছেন তাঁরা, যাঁরা আমার কাছে আসেন শিশুদের দেখাতে, তাদের জন্য পরামর্শ চাইতে। নিজের সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি, করে চলেছি ওই শিশুরা যাতে ভাল থাকে। তাদের ভাল থাকা থেকে নিজের ভাল থাকার রসদ সংগ্রহ করেছি। এখন নিজেকে মনে হয় ওই ‘ওয়াইজ আউল’-এর মতো। জ্ঞানবৃদ্ধ হয়ে বসে থাকি, রুগি দেখি, সেমিনারে পেপার দিই, আমার তরুণ সহকর্মীরা আমার হয়ে কত কাজ করে দেয়। জীবন বুঝি এ-রকমই। মাঝে মাঝেই ছবিগুলো দেখি। বেশ লাগে। শান্তি পাই।
|