রাফায়েল নাদালের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে হলে রজার ফেডেরারের ‘মোটিভেশন’ হতে পারেন লেটন হিউইট!
কারণ এ বারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের এখনও পর্যন্ত বৃহত্তম চমকটি দিলেন ৩২ বছরের এই অস্ট্রেলীয়। যাঁকে পাওয়ার টেনিসের যুগেও ‘বুড়ো’ তকমা না দিয়ে গত রাতের পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘যুদ্ধের ঘোড়া’। যিনি বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডেই ছিটকে দিলেন হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রো-কে। ষষ্ঠ বাছাই আর্জেন্তিনীয় শুধু এ বার ফ্লাশিং মেডোয় খেতাবের অন্যতম দাবিদারই ছিলেন না। ইদানীং ফর্মের মধ্যগগনে থাকা দেল পোত্রো মাস দুই আগেই জকোভিচের বিরুদ্ধে উইম্বলডনের ইতিহাসে দীর্ঘতম সেমিফাইনাল খেলেছিলেন। কিন্তু আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে শুক্রবারের ‘নাইট সেশনে’ (ভারতীয় সময় শনিবার ভোরে) ২০০৯-এর যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন দেল পোত্রোকে ২০০১-এর চ্যাম্পিয়ন হিউইট পাঁচ সেটের ম্যারাথন লড়াইয়ে হারিয়ে সাম্প্রতিক বিশ্ব টেনিসের সবচেয়ে স্মরণীয় প্রত্যাবর্তনের নজির রাখেন। ৬-৪, ৫-৭, ৩-৬, ৭-৬ (৭-২), ৬-১। |
বত্রিশ বছরেও ১-২ সেট পিছিয়ে পড়ার পর চতুর্থ সেট টাইব্রেকে জিতে ম্যাচে সমতা এনে চূড়ান্ত সেটে আট বছরের ছোট মেগা প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৬-১ উড়িয়ে দেওয়ার মতো নজির গ্র্যান্ড স্ল্যামে স্মরণকালের মধ্যে নেই। তা-ও হিউইট বেশ কিছু দিন যাবত নানান চোটআঘাতের সঙ্গে লাগাতার লড়ে চলেছেন। কিন্তু সেই সব ভুলে টগবগে ঘোড়ার মতোই তাঁকে যুদ্ধ করতে দেখা গিয়েছে দেল পোত্রোর সঙ্গে। চার ঘণ্টার যে লড়াই নিউইয়র্কের মধ্যরাতে শেষ হয়েছেই শুধু নয়। হিউইটের সোনালি দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। যখন তিনি এক মরসুমে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন এবং উইম্বলডন জিতে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর ছিলেন। “প্রথম রাউন্ডের জয়টাই আমাকে তাতিয়ে দিয়েছিল। কারণ জানতাম, দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলে আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে খেলব। জানি না আর ক’দিন পেশাদার ট্যুরে আছি। সে জন্য এই ঐতিহাসিক কোর্টে কিছু করে দেখানোর জন্য মুখিয়ে ছিলাম,” জিতে উঠে বলেছেন বর্ষীয়ান অস্ট্রেলীয় টেনিস তারকা। যেখানে তাঁর দেশের সেরা প্রতিভা বার্নার্ড টমিচ ফ্লাশিং মেডো থেকে ইতিমধ্যেই ছিটকে গিয়েছেন।
হিউইটের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের দিন শীর্ষ বাছাই জকোভিচ এবং গতবারের চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ডি মারের তৃতীয় রাউন্ডে ওঠার খবরও যেন ঢাকা পড়ে গিয়েছে! মেয়েদের সিঙ্গলসে প্রি-কোয়ার্টারে পা রেখেছেন আজারেঙ্কা, রাডওয়ানস্কা, লি না এবং হটফেভারিট সেরেনা উইলিয়ামস। শেষ জনের কাছে এ বার প্রতিশোধের ম্যাচ। এ বছর অস্ট্রেলীয় ওপেন থেকে সেরেনাকে যিনি ছিটকে দিয়েছেন সেই স্লোয়ানে স্টিফেন্স রবিবার সেরেনার সামনে। উইম্বলডনে সেরেনাকে হারানো সাবিন লিসিকি অবশ্য দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে গেলেন। প্রাক্তন উইম্বলডন জয়ী কিভিতোভাকে হারালেন কোয়ালিফায়ার অ্যালিসন। |