কয়লার দাম নির্ধারণের জন্য ফের একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ গড়ে তোলার দাবি জানালেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। দেশে বিদ্যুৎ শিল্পের উন্নয়নে একটি ‘শক্তি নিরাপত্তা নীতি’ প্রণয়নের দাবিও তুলেছেন তিনি। যেখানে তিনি অপ্রচলিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপরে বেশি জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। একই সঙ্গে তিনি বিরোধিতা করেছেন পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের।
বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বারের উদ্যোগে সম্প্রতি বিদ্যুৎ শিল্প নিয়ে আলোচনাসভায় মন্ত্রী বলেন, “বিদ্যুতের মাসুল স্থির করতে সব রাজ্যেই নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আছে। কিন্তু যে-কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ তৈরি হয়, তার দাম খতিয়ে দেখতে দেশে কোনও নিয়ন্ত্রক নেই। কেন্দ্রের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ গড়ে তোলা।” কিছু দিন আগে দিল্লিতে যোজনা কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকেও মণীশবাবু কয়লার জন্য নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দাবি তুলেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মতো আরও অনেক রাজ্যই এখন এই দাবি তুলতে শুরু করেছে। অধিকাংশ রাজ্যেরই বক্তব্য, কোল ইন্ডিয়া যে-ভাবে কয়লার দাম বাড়িয়ে চলেছে, তা কতটা যুক্তিসঙ্গত সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
পরমাণু বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে মণীশবাবু বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশও এখন বিকল্প শক্তির কথা ভাবতে শুরু করেছে। তাঁর দাবি, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে প্রায়শই নানা দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু তার অধিকাংশ খবরই ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “বিপদ বুঝে জাপান এখন ধাপে ধাপে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি বন্ধ করতে চাইছে। জার্মানিও বিকল্প শক্তি ব্যবহারের পথে হাঁটতে শুরু করেছে।” মণীশবাবু জানান, রাজ্যের গ্রিডে তাপবিদ্যুতের পাশাপাশি অপ্রচলিত বিদ্যুতের মিশ্রণ বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যে কারণে জলবিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর সঙ্গেই বায়ু-বিদ্যুতের কথাও ভাবা হচ্ছে। দিঘার সমুদ্র উপকূলের পাশে বায়ু-বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |