কাঁটা সেই দার্জিলিং-ই।
পুজোর সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটক টানতে আজ থেকে দিল্লিতে দু’দিনের সম্মেলনের আয়োজন করেছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দফতর। কিন্তু অশান্ত পাহাড়ের জন্য কতটা সাড়া পাওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন উদ্যোক্তারাই।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে তুলে ধরে রাজ্যে পর্যটক বাড়াতে গত চার-পাঁচ বছর ধরেই সক্রিয় পর্যটন দফতর। এ বার বিষয়টি নিয়ে আরও কোমর বেঁধে নেমেছে রাজ্য সরকার।
তাই দিল্লিতে পুজোর ঠিক এক মাস আগে দু’দিনের ওই সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেয় পর্যটন দফতর। যেখানে বিভিন্ন বণিক গোষ্ঠী, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ট্যুর অপারেটর, বিদেশি দূতাবাসের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। |
দফতর সূত্রে খবর, পাহাড়ের অশান্ত পরিস্থিতির কথা জেনে অনেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন। ওই অশান্তির জন্য ইতিমধ্যে পুজোর প্রায় ৯০ শতাংশ বুকিং বাতিল করতে হয়েছে তাদের। দার্জিলিঙের পরিবর্তে কার্শিয়াং, কালিম্পং বা ডুয়ার্সে যাওয়ার চাহিদা আছে। তবে তা খুবই কম।
রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর বক্তব্য, “আশা করছি শীতের আগেই পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে।”
শারদোৎসবে বাংলার বাইরের পর্যটক ধরতে মহালয়ার দিন থেকেই সক্রিয় হয়েছে পর্যটন দফতর। মহালয়ার দিন লঞ্চে করে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে তর্পণ দেখানোর জন্য বিশেষ প্যাকেজ শুরু করছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’। সংস্থার অধিকর্তা ভীষ্মদেব দাশগুপ্ত বলেন, “শুধু তর্পণ দেখাই নয়, কোনও পর্যটক তর্পণ করতে চাইলে তারও ব্যবস্থা করছি আমরা।”
তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের বাইরের রাজ্যগুলির থেকেও ইতিমধ্যেই ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছে। আজ ট্যুর অপারেটরদের পক্ষ থেকে পর্যটন দফতরের কাছে তাদের কমিশন বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন আধিকারিকেরা। |