টাকার দামের লাগাতার পতন ও বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিতে ফের দাম বাড়ল পেট্রোপণ্যের। সেই সঙ্গেই ইঙ্গিত মিলল, পেট্রোপণ্যের দাম শীঘ্রই আরও এক বার বাড়তে পারে। এ বারে ডিজেলের পাশাপাশি পেট্রোল ও ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দামও বেড়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল জানিয়েছে, ডিজেলের দাম লিটারে ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। কর যোগ করে কলকাতায় নয়া দর হল লিটার প্রতি ৫৬.৩৩ টাকা। পেট্রোলের দাম বেড়েছে লিটার পিছু ২.৩৫ টাকা। কর যোগ করে কলকাতায় নতুন দর হল লিটারে ৮১.৫৭ টাকা। ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের (১৪.২ কেজি) দাম ৬০ টাকা বেড়ে হল ৯৬৭ টাকা। নয়া দর শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে সংসদের অধিবেশন শেষ হলে ডিজেল-রান্নার গ্যাসের দাম ফের বাড়তে পারে বলে আজ কেন্দ্রের তরফে ইঙ্গিত মিলেছে। এ দিনই পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে। সূত্রের ইঙ্গিত, ওই বৈঠকে ফের পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কথা হয়েছে। সূত্রের দাবি, পরের দফায় ডিজেল-রান্নার গ্যাসের পাশাপাশি দাম বাড়তে পারে কেরোসিনেরও। ডিজেলের দাম ৩ থেকে ৫ টাকা, কেরোসিন ২ টাকা এবং ভর্তুকিযুক্ত এলপিজি-র দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কড়া সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন ফেসবুকে বলেন, “ফের দাম বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের। অর্থনীতিতে লাল (সঙ্কেত), মানুষ অভুক্ত, ইউপিএ মৃত!” পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা মুকুল রায়ও। তিনি বলেন, “সংসদ চলাকালীন তাকে এড়িয়ে সপ্তাহান্তে দাম বাড়ানোর এই প্রবণতা নিন্দনীয়। এর ফলে রান্নাঘরে আগুন জ্বলবে। মানুষ সহ্যের শেষ সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে।”
এ বছর এপ্রিল থেকে টাকার দর প্রায় ২৫% পড়েছে। ফলে তেল আমদানি করতে অনেক বেশি টাকা গুনছে তেল সংস্থাগুলি। সিরিয়ায় যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বিশ্ব বাজারে তেলের দামও বেড়েছে। ফলে খরচ আরও বেড়েছে। সরকারের যুক্তি, সে কারণেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। শেষ পর্যন্ত জানুয়ারির সিদ্ধান্ত মেনেই (প্রতি মাসে ডিজেল বাড়বে লিটারে ৫০ পয়সা) তা বাড়ানো হয়েছে। |