শুধু মাত্র নির্দিষ্ট নীতি ও আর্থিক সুবিধাই যথেষ্ট নয়। রাজ্যের ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য তৈরি প্রায় সব শিল্প তালুকে ন্যূনতম পরিকাঠামোর অভাব চোখে পড়ার মতো। নেই পণ্য নিয়ে যাওয়ার উপযুক্ত সড়ক। ফলে ব্যবসার বিপুল সম্ভাবনার ছাপ পড়ছে না হিসেবের খাতায়।
সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য। ধুঁকতে থাকা শিল্প তালুক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের কাছে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের আর্জি জানিয়ে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে সংশ্লিষ্ট দফতর। শিল্প তালুকে পরিকাঠামোর চূড়ান্ত অব্যবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়ে ছোট, মাঝারি এবং বস্ত্রশিল্প দফতরের সচিব রাজীব সিংহ জানান, পরিকাঠামো ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে এই অর্থ খরচ করা হবে। |
রাজ্যে আপাতত ৩২টি শিল্প তালুক রয়েছে। অধিকাংশ তালুকেই জল, বিদ্যুৎ, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, নিকাশির মতো ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবা নেই। এই সঙ্গে রয়েছে সড়ক যোগাযোগের সমস্যা। অধিকাংশ শিল্প তালুকে প্রধান সড়কের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা নেই বললেই চলে। রাজীববাবু জানান, বর্তমান তালুকগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫০০ কোটি টাকার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। সড়ক যোগাযোগের জন্য বাকি ৫০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে।
বর্তমান শিল্প তালুকগুলির পাশাপাশি আরও ৭টি নতুন তালুক তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। তবে সরকারি সূত্রের খবর, বেহাল তালুকগুলির ভোল বদলে তবেই নতুনের দিকে নজর দেওয়া হবে।
রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়নের শো-কেস কসবা শিল্প তালুকের চিত্রই এগুলির বেহাল দশার প্রমাণ। শহরের চৌহদ্দির মধ্যে থাকা এই শিল্প তালুকে ফায়ার লাইসেন্স নেই। তাই ট্রেড লাইসেন্স মিলছে না। ট্রেড লাইসেন্স না-থাকায় ব্যাঙ্কঋণের আর্জি নাকচ হচ্ছে। ফলে থমকে যাচ্ছে ওই তালুকে ব্যবসা করা অধিকাংশ সংস্থার সম্প্রসারণ। এখানে কাজ করেন প্রায় ৩,০০০ মানুষ। ব্যবসার অঙ্ক ৪,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। বাইপাস থেকে কয়েক পা দূরেই তৈরি হয়েছে ৩০ একরের এই তালুক। তবুও সংযোগকারী রাস্তার জীর্ণ দশার জন্য জিনিসপত্র আনা-নেওয়া করতে নাভিশ্বাস উঠছে ২০০টি সংস্থার। সঙ্গে রয়েছে জল, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, নিকাশির সমস্যা। রাজ্যের দাবি, কসবা, বেহালা-সহ কয়েকটি সম্ভাবনাময় শিল্প তালুকের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে তারা। কেন্দ্রীয় সহায়তা পেলে প্রথম দফাতেই এগুলির উন্নয়ন করা হবে। |