বর্ধমানের আসানসোল ও দার্জিলিঙের শিলিগুড়িতে ইতিমধ্যেই ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আসানসোল মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে এখনও পর্যন্ত ২০ জনের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর নথিভুক্ত করেছে আসানসোল মহকুমা স্বাস্থ্যদফতর। তবে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে শিলিগুড়িতে। স্বাস্থ্য দফতর বা পুরসভা কারও কাছেই সঠিক তথ্য নেই। কিন্তু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রচুর রোগী চিকিৎসা করাতে আসছেন। তাদের অনেকেরই রক্ত পরীক্ষা এখনও ঠিক মতো করা হয়নি। বৃহস্পতিবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত শিলিগুড়ি পুরসভার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের লিম্বু বস্তির এক কিশোরী রশ্মি মাঝি (১৬) মারা যাওয়ার পর ওই এলাকায় শিবির করে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করেছে দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দফতর। লিম্বু বস্তি, প্রকাশনগরের শিবিরে জ্বরে আক্রান্ত শতাধিক বাসিন্দা এসেছেন। রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, শিলিগুড়ি শহর ও আশপাশের এলাকা নিয়ে ১৪ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। যদিও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেখানে ৩ মহিলা-সহ মোট ১৩ জন ডেঙ্গি রোগী ভর্তি। নার্সিংহোমগুলিতে অন্তত ৫ জন ভর্তি রয়েছেন। তবে বেসরকারি সূত্রে খবর, বিভিন্ন নার্সিংহোম গুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ২০ জন।
শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলামের দাবি, হিল কার্টরোডের একটি নার্সিংহোমে অন্তত ৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। পুরসভার ১০টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গির সংক্রমণ বেশি। কয়েকদিন আগেই শুরু করা হয়েছে।
আসানসোল মহকুমায় সরকারি ভাবে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জন। মহকুমার সহ-স্বাস্থ্য আধিকারিক অরিতা সেন চট্টরাজ জানান, মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর খবর আসছে। তবে বেশির ভাগ রোগীই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন না বলে ঠিক কত জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন, তার সঠিক তথ্য জানা যাচ্ছে না। আসানসোল পুরসভার চিকিৎসক অজয় কুমার সেন জানান, গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় ১৬ জনের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। শুক্রবার সকালেও পুরসভার ৩১ নম্বর ওর্য়াড থেকে একজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। অরিতা বলেন, “যে এলাকাগুলি থেকে রোগের খবর আসছে, সেখানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হচ্ছে।” |