মালবাজার পঞ্চায়েত সমিতি বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ার সময় গ্রেফতার হলেন সিপিএমের বিজয়ী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে গোলমালের জেরে উত্তেজনা চড়ায়। এতে মাঝপথে বোর্ড গঠন প্রশাসনের তরফে মুলতুবি ঘোষণা করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ৩৩ আসনের মালবাজার পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিএম ১৯টি ও আরএসপি ১টি আসন পেয়েছে। তৃণমূল ৭টি, কংগ্রেস ৪টি, মোর্চা এবং ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা ১টি করে আসন পায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই এদিন বামফ্রন্টের ২০ জন সদস্য বোর্ড গঠন করতে আসেন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানও শুরু হয়। পঞ্চায়েত সমিতির দফতরের মধ্যে বহু তৃণমূল সমর্থক ছিলেন। তাঁরা দাবি করেন, মালবাজার ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির রাজাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিজয়ী সিপিএম সদস্য বাহার আলির বিরুদ্ধে মালবাজার থানার ক্রান্তি ফাঁড়িতে গত ১৬ অগষ্ট শ্লীলতাহানি ও চুরির অভিযোগ দায়ের হয়। তাই তাঁকে গ্রেফতার না করে বোর্ড গঠন করা যাবে না। সমিতি দফতরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর পুলিশ বাহার আলিকে গ্রেফতার করে। পুরানো অভিযোগের জেরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান মালবাজারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অরিন্দম সরকার।
বাহার আলিকে গ্রেফতার হতেই দেখেই পাল্টা বিক্ষোভ শুরু করে সিপিএম। সিপিএমের মালবাজারের জোনাল সম্পাদক চানু দে বলেন, “বাহার আলি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন ভূমি ও বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ। তিনি এলাকা ছেড়ে কখনও যাননি। বিডিও-র ডাকা বোর্ড গঠনের সভায় তিনি আসেন। এইভাবে গ্রেফতার গণতন্ত্রের লজ্জা।” এদিকে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বোর্ড গঠন মুলতুবি করে দেন মালবাজারের বিডিও তাসি ডোমো শেরপা। অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে সিপিএম এবং আরএসপি। আরএসপির মালবাজার ময়নাগুড়ির নেতা মহাদেব রায় বলেন, “বোর্ড গঠন মুলতুবির জন্যই বিক্ষোভ হয়েছে।”
যদিও তৃনমূল কংগ্রেসের মালবাজার ব্লক সভাপতি শুভাশিস ঘোষ জানান, আমরা শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্তের গ্রেফতার চেয়ে সরব হয়েছিলাম। এরপর ফের বোর্ড গঠনের দিন যেদিন ধার্য হবে সেদিন আমরা অংশগ্রহণ করব। মালবাজারের মহকুমা শাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি জানান, জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বোর্ড গঠনের বৈঠক ডাকা হবে। |