গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ‘শক্ত ঘাঁটি’ হিসাবে পরিচিত কালিম্পঙের গরুবাথান এবং গৌরিবাসে গিয়ে কয়েকশো বাসিন্দাদের মধ্যে রসদ বিলি করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। শুক্রবার দুপুরে পাহাড়ের ওই দুই এলাকায় যান মন্ত্রী। তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এই রসদ বিলি কর্মসূচিতে দুই জায়গায় প্রায় ৭০০ জন বাসিন্দা চাল, আটা, আলু নিতে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়ান বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন। মোর্চার পাল্টা দাবি, রসদ নেওয়ার ওই লাইনে ২০০-বেশি লোক হয়নি। মোর্চার গরুবাথান ব্লক সম্পাদক পদম খাওয়াস বলেন, “গরুবাথানের মোট বাসিন্দা ৪০ হাজারেরও বেশি। সেখানে লাইনে যাঁরা দাঁড়িয়েছেন। তাদের সংখ্যা নগন্য। ওসব নিয়ে তাই ভাবছি না” |
এদিন দুপুরে মন্ত্রী গৌতমবাবু গরুবাথানের পানডারা মোড় লাগোয়া এলাকায় আসেন। মন্ত্রী আসার অনেক আগে থেকেই স্থানীয় ফাগু চা বাগানের বাসিন্দারা রসদের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। প্রত্যেককে ১০ কিলো করে চাল, ২ কিলো করে আলু ও আটা দেওয়া হয়। ৪০০ মত বাসিন্দারা রসদ নেন বলে তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন। এর পরে গৌতমবাবু ডুয়ার্সের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ঝালং বিন্দুর রাস্তার ধরে ভূটান লাগোয়া গ্রাম রংগু-তে যান। সেখানে স্থানীয় মহিলারা মন্ত্রীকে খাদা মালা পড়িয়ে আপ্যায়ন করেন। সন্ধ্যায় তিনি ফেরেন গৌরিবাসে। সেখানেও প্রায় ৩০০ জন বাসিন্দা একইভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে রসদ নেন। মন্ত্রী বলেন, “পাহাড় এবং সমতলের দীর্ঘদিনের সম্প্রীতি রয়েছে। তা জারি রাখতেই দলীয়ভাবে রসদ বিলি চলছে। এর বাইরে সরকারি রেশনের দোকানও খোলা রেখে সেখান থেকে চাল গম বিলি হবে। রান্নার তেলও বিলির চেষ্টা চলছে।” রংগু এলাকায় গিয়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সমস্যার কথা শোনেন গৌতমবাবু। তিনি বলেন, “এলাকায় পর্যটনের সম্ভাবনা থাকলেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এলাকাটি সত্যিই মনোরম। পানীয় জল, রাস্তার দুরাবস্থাও রয়েছে।” |
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পাহাড়ের বন্ধ, আন্দোলনের জেরে ঘরে রেশনের খুবই খারাপ অবস্থা। বিভিন্ন এলাকায় অল্প রসদ মিললেও দাম প্রচুর। এমন অবস্থায় এদিন রেশন পেয়ে অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। আগামী কটা দিন সমস্যা হবে না বলে তাঁরা জানিয়েছেন। |