|
|
|
|
|
|
|
নাটক সমালোচনা... |
|
অধরাই থাকে মৃত্যু
নাটকওয়ালার প্রযোজনায় ‘মরণ রে’ |
জীবনে আনতে চাই বৈচিত্র। আর তা কে না চায়। কিন্তু বাস্তবে? সেখানে নেই মৃত্যুর ‘তীব্র আকুতি’। মানে নিষ্কৃতি। আর এই ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে শ্যামল চক্রবর্তীর নির্দেশনায় ‘নাটকওয়ালা’র সাম্প্রতিক প্রযোজনা ‘মরণ রে’। সত্যপ্রিয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। অকৃতদার মানুষটি সারা জীবন সসম্মানে বাঁচতে আগ্রহী। কিন্তু সেই নির্ভীক মানুষটি ক্যানসারে আক্রান্ত। নিষ্কৃতি পেতে তিনি প্রতি মুহূর্তে খুঁজে ফেরেন সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুকে। ওদিকে সত্যপ্রিয়র সুদূর অতীতের পরিচিতা করুণা, যার একমাত্র ছেলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে, সেই ছেলের প্রাণরক্ষার জন্য করুণা আজ, সত্যপ্রিয়র সাহায্যপ্রার্থী। |
|
নাটকের অপর একটি চরিত্র জবা, যে কিনা প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতার ছেলের প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা। সে আত্মহত্যার চেষ্টায় বিফল হয়ে করুণার স্নেহচ্ছায়ায় জীবনের মানে খুঁজে পেতে চায়। ওদিকে ক্ষমতালোভী প্রদীপ অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতার বংশবদ। যে কিনা জবাকে প্রভাবিত করে গর্ভপাত করানোর জন্য। এই নিয়ে আবর্তিত হতে থাকে বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ। বাড়ে নাটকের গতি।
নাটকের প্রথম অর্ধের তুলনায় দ্বিতীয় অর্ধ অনেক বেশি গতিশীল। রজত গঙ্গোপাধ্যায়ের সাবলীল অভিনয় প্রশংসনীয়। সীমা মুখোপাধ্যায় যথাযথ। বিন্দিয়া ঘোষের অভিব্যক্তি ভাল লাগলেও সংলাপ প্রক্ষেপণে আরও সাবলীলতা কাম্য। প্রদীপের ভূমিকায় সঞ্জীব সরকার উত্তীর্ণ। |
|
|
|
|
|