সম্প্রতি রাগাশ্রী আয়োজন করেছিল সৃজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক। শুধু মাত্র সরোদকে সঙ্গী করে তিনি শোনালেন রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, পুরনো দিনের জনপ্রিয় আধুনিক গান। বিভিন্ন রাগভিত্তিক গানগুলি নির্বাচন করে তিনি শ্রোতাদের প্রশংসা অর্জন করেন। নজরুলগীতি তিলক কামোদে গীত ‘সৃজন ছন্দে’ গানটি শিল্পীর কণ্ঠে অন্য মাত্রা পেয়ে যায়। পিলু রাগে রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘আমার পরাণ’ এবং দেশ আধারিত ‘এসো শ্যামল’ শিল্পীর সঠিক চয়ন। মিশ্র খাম্বাজে ‘ভেঙে মোর ঘরের চাবি’ এবং শ্রী-তে ‘কার মিলন চাও’, বেহাগ রাগে ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি’ মন্দ নয়। হৈমন্তী শুক্লর জনপ্রিয় গান ‘এখনও সারেঙ্গিটা বাজছে’ শিল্পীর কণ্ঠে নস্টালজিক অনুভূতি এনে দেয়।
|
সম্প্রতি রবীন্দ্র সদনে চতুর্থ সহজিয়া উৎসব-এ কালাচাঁদ গাইলেন ‘ঘরের মধ্যে ঘর বানাইয়া খেলছে সাঁই আজব খেলা’। লোকশিল্পী কালাচাঁদের পর গাইলেন তাঁর শিষ্য শ্যামল, দুলাল, মৃত্যুঞ্জয় এবং কনিষ্ঠতমা শিষ্যা সুস্মিতা। এর পর গান শোনালেন দেব চৌধুরী ও তাঁর লোকগানের দল ‘সহজিয়া’। ব্যাঞ্জোতে বাপ্পা, বাঁশিতে তরুণ, খোলে তিলক, ঢোলে ক্ষুদিরাম, হারমোনিয়াম-কিবোর্ডে সন্দীপ, বেস গিটারে রাজদীপ, ওয়ার্ল্ড পারকাশনে কুশল এবং প্রধান কণ্ঠ ও দোতারা-খমকে দেব চৌধুরী। তাঁরা গাইলেন ‘হৃদয়কপাট দেখ না খুলে’, ‘রসের গৌর হরি’, ‘মন দে যৌবন দে’। দর্শকদের অনুরোধে কালাচাঁদ দরবেশ ও সহজিয়ার এ দিনের শেষ যৌথ নিবেদন লালনের ‘মিলন হবে কত দিনে’ গানটি সত্যি এক অন্য মাত্রা পায়।
প্রথম পর্বে প্রদর্শিত হল দেব চৌধুরীর বাংলার শেষ দরবেশ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র ‘দরবেশি গানের সন্ধানে’। এ দিন অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী, চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, রাজা সেন, গায়ক সৌমিত্র, কবি অরুণ চক্রবর্তী এবং সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন সমবেত ভাবে কালাচাঁদ দরবেশ এবং খোলবাদক তিলক মহারাজকে এ বছরের ‘সহজিয়া সম্মান’ প্রদান করেন।
|
সম্প্রতি ইন্দুমতী সভাগৃহে অন্বেষার নিবেদনে ছিল ‘রবিঠাকুর মা ও আমি’। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা বেশ অভিনব। দু’টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সুপ্রকাশ মুখোপাধ্যায়। সূচনায় অনুষ্ঠানের মূল নির্যাসটি সংক্ষেপে বলেন সুলগ্না বসু। প্রত্যেক মেয়ের জীবনেই তার মায়ের ভূমিকা অপরিহার্য। বিশেষত সেই মা যদি হন এক জন রবি অনুরাগিণী, তবে দেখা যায় ক্রমশ মা ও মেয়ের ভুবনের এক অলক্ষ সেতুবন্ধন তৈরি করে দেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। দু’টি পর্বের শিল্পীরা তাঁদের রবীন্দ্রসঙ্গীত সাধনা ও শিল্পীজীবনে তাঁদের মায়ের ভূমিকাটি ব্যক্ত করেন। শ্রাবণী সেনের সঙ্গীত নিবেদনে ছিল স্বতঃস্ফূর্ত প্রাণময়তা। প্রথম পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুছন্দা ঘোষ, বাসবী বাগচি, তনুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। আবৃত্তিতে ছিলেন শ্রীমন্তী দাশগুপ্ত ও স্বাগতা পাল। দ্বিতীয় পর্বে ছিলেন তানিয়া দাশ, রুমা সিংহ। আবৃত্তি পরিবেশনায় ছিলেন সুলগ্না বসু। |