অ্যারন ফিঞ্চ নামটা শুনলে আমার একটা জিনিসই মনে হয় নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন। পুণে ওয়ারিয়র্সে থাকার সময় ওকে যতটা চিনেছি, তাতে জানি যে ব্যাপারটা ওর মজ্জাগত। শুধু মাঠের মধ্যে নয়, মাঠের বাইরেও। আমরা সবাই যখন আড্ডা দিতাম তখনও লক্ষ্য করেছি সেটা। তাই বলে কিন্তু অ্যারন একটুও উদ্ধত নয়। ভীষণ ‘ডাউন টু আর্থ’। এই যে ইংরেজ বোলারদের নৃশংস ভাবে মেরে ১৫৬ রানের বিশ্বরেকর্ড করেছে, মাঠের বাইরে ছেলেটাকে দেখলে এই আগ্রাসনের আঁচটুকুও পাওয়া যাবে না।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৩৯ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়া। তার পরই গতকাল রাতে ফোনে কথা হচ্ছিল ফিঞ্চের সঙ্গে। এতটকু বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই। উল্টে পরের দিনের ম্যাচেই বেশি ফোকাস। মজা করে বলছিল, “পরের আইপিএল নিলামে একটু দাম বেড়ে গেল বলে মনে হচ্ছে!” ফিঞ্চ এ রকমই। মাঠে আবার ফিঞ্চ একদম অন্য রকম। |
বিশ্বরেকর্ড করে ফিরছেন ফিঞ্চ। |
নিজের দিনে ওর পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। টেকনিক্যালি দারুণ স্ট্রং। পেস, স্পিনের বিরুদ্ধে সমান স্বচ্ছন্দ। ক্রিজে সব সময় পজিটিভ থাকে। সোজা ব্যাটে খেলতে পছন্দ করে। তাও দুর্দান্ত গতিতে। সাউদাম্পটনের বিস্ফোরক ইনিংসটার কথাই ভাবুন। প্রথম বলেই ছয়। হাফ সেঞ্চুরি (২৬ বলে), সেঞ্চুরি (৪৭ বলে), ম্যাকালামের টি-টোয়েন্টি বিশ্বরেকর্ড ভাঙা আর নিজের ১৫০, সব ক’টা ল্যান্ডমার্কই কিন্তু ছয় মেরে পৌঁছেছে ফিঞ্চ। সব মিলিয়ে এগারোটা চার আর ১৪টা ছয়!
ফিঞ্চ আরও আগেই বিশ্বরেকর্ডটা করে ফেলত। আইপিএল সিক্সের পর অস্ট্রেলিয়া ‘এ’র হয়েও ফর্মে ছিল। কিন্তু দারুণ শুরু করেও ৫০-৭০ করে আউট হয়ে যাচ্ছিল। ওর বোলারদের ‘ছিঁড়ে ফেলব’, ‘খেয়ে ফেলব’ ব্যাপারটা তাই দানা বাঁধছিল না। বৃহস্পতিবার সব কিছু ঠিকঠাক খেটে গেল। আর বোলারদের সতর্ক করে রাখি, ভবিষ্যতে এর থেকেও বিস্ফোরক কোনও ইনিংসে অ্যারন ফিঞ্চের নাম লেখা থাকলে কিন্তু অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। |