যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ইতিহাসে প্রথম বার মুখোমুখি হওয়ার দিকে আরও এক ধাপ এগোলেন রাফা-রজার।
সম্ভাব্য মেগা কোয়ার্টার ফাইনালের দুই মহাপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে রজার ফেডেরার তৃতীয় রাউন্ডে ওঠার পথে বিশ্বের ৪৮ নম্বর আর্জেন্তিনীয় কার্লোস বার্লক-কে হাফডজন ‘এস’ সার্ভ আর ৩৭টা উইনার মেরে দেড় ঘণ্টায় উড়িয়ে দেন ৬-৩, ৬-২, ৬-১। শীর্ষবাছাই নোভাক জকোভিচও তৃতীয় রাউন্ডে। জার্মানির বেঞ্জামিন বেকারকে হারান তিনি ৭-৬(২), ৬-২, ৬-২। দ্বিতীয় রাউন্ডে জেতার পথে রাফায়েল নাদাল অবশ্য আরও বিধ্বংসী ছিলেন। ব্রাজিলীয় কোয়ালিফায়ার রোজারিও সিলভা-কে মাত্র তিনটে গেম খুইয়ে হারান। ৬-২, ৬-১, ৬-০। তা সত্ত্বেও ফেডেরার যেন এখন থেকেই হুঙ্কার দিচ্ছেন। “এ বার ফ্লাশিং মেডোয় দারুণ স্বচ্ছন্দ লাগছে। যেটা খুব ভাল লক্ষণ।” |
|
|
নাদালের ম্যাচে দর্শক বান্ধবী জিসকা পেরেলো। ছবি: এএফপি |
|
রাফার মুখোমুখি হওয়া প্রসঙ্গে রজারের মন্তব্য, “আশা করি ওই পর্যন্ত পৌঁছব। তবে যদি শুধু ওই ম্যাচটা নিয়েই ভাবি তা হলে সেটা আমার চরম ভুল হবে। সাফ কথা, রাফার সঙ্গে এখানে একবার খেলতে আমি খুব পছন্দ করব। কিন্তু নিউইয়র্কে আমার আসল লক্ষ্য হল, জেতার অভ্যাসটা বজায় রাখা। কী ভাবে রাখব তা নিয়ে আদৌ ভাবছি না। জিতলেই আত্মবিশ্বাস বাড়বে আর খেলাটাকে উপভোগ করব। দুটো জিনিসই বড় ম্যাচ জেতার জন্য খুব জরুরি।” নাদাল আবার বলেছেন, “রজারের বিরুদ্ধে খেলা সবসময়ই গ্রেট। আমার এখনকার ফর্মে আরও উপভোগ্য।”
মেয়েদের সিঙ্গলসে হটফেভারিট সেরেনা উইলিয়ামস-ও তরতরিয়ে এগোচ্ছেন। ৩১ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির গড়ার দৌড়ে সেরেনা দ্বিতীয় রাউন্ডে বিশ্বের ৭৭ নম্বর রুশ বংশোদ্ভুত কাজাখ গালিনা ভস্কোবোয়েভাকে গুঁড়িয়ে দেন ৬-৩, ৬-০। তার পরে বলেন, “গালিনা ভালই খেলেছে। তবে আমি একটু বেশিই ভাল খেলেছি।” সেরেনার চ্যালেঞ্জার আজারেঙ্কাও তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছেন। কানাডার ওজনিয়াককে সহজেই ৬-৩, ৬-১ হারিয়ে। গত দিনের অঘটন বলতে গতবারের সেমিফাইনালিস্ট সারা ইরানি-র দ্বিতীয় রাউন্ডে বিদায়। চতুর্থ বাছাই ইতালীয় মেয়ে পেশাদার ট্যুরে তাঁর অন্যতম বন্ধু, স্বদেশীয় ফ্লাভিয়া পেনেত্তার কাছে ৩-৬, ১-৬ হেরে অবশ্য কেঁদে ফেলেন! |