দীর্ঘদিনের চেষ্টায় কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে বাজির দাপট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছিল। কিন্তু আসন্ন উৎসবে শব্দবাজির আবার স্বমূর্তি ধারণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিয়ম শিথিল হওয়ায় কালীপুজোয় দোদমা, কালীপটকা, চকলেট বোম ফাটানোয় কার্যত বাধা থাকছে না। জাতীয় পরিবেশ আদালত রায় দিয়েছে, শব্দবাজির শব্দসীমা ৯০ থেকে ১২৫ ডেসিবেল করা যাবে। সেই নির্দেশ বলবৎ করতে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কর্তৃপক্ষ শুক্রবার জানান, পরিবেশ আদালতের রায় মেনে পশ্চিমবঙ্গেও বাজির শব্দসীমা ১২৫ ডেসিবেল করা হচ্ছে। এতেই বাজি প্রস্তুতকারীরা উৎসাহিত। তাঁদের বক্তব্য, অন্যান্য রাজ্যে ১২৫ ডেসিবেল শব্দসীমার বাজি ফাটানোর অনুমতি থাকলেও এ রাজ্যে সেই মাত্র কমিয়ে রাখা হয়েছিল। তাই তাঁরা জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেন। প্রায় দেড় দশক ধরে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে ৯০ ডেসিবেলের বেশি মাত্রার শব্দবাজি নিষিদ্ধ ছিল। দোদমা, কালীপটকা, চকলেট বোম ফাটানো আইনত অপরাধ বলে গণ্য হতো। নজরদারি চালাত দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। নতুন ব্যবস্থায় বাজি নিয়ন্ত্রণের কী হবে? দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান বিনয় দত্ত বলেন, “পরিবেশ আদালতের রায় মেনে চলতে হবে আমাদের। তবে রাস্তায় নেমে বাজি পরীক্ষা করে পুলিশ। আইনের খেলাপ হলে সেটাও দেখে তারা। পর্ষদ তাদের সাহায্য করে। করবেও।”
পুরনো খবর: রাজ্যে বাজির শব্দসীমা বেড়ে ১২৫ ডেসিবেল
|
গাছ লাগানোর সময় ঝাঁটা উঁচিয়ে পুরকর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে গরফা থানার গীতাঞ্জলি পার্কে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম ইন্দ্রাণী কয়াল। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা। পুরসভার সাত কর্মী এ দিন সেখানে গাছ লাগাচ্ছিলেন। ইন্দ্রাণীদেবীর বাড়ির সামনে গাছ লাগাতে গেলে পুরকর্মীদের সঙ্গে প্রথমে তাঁর বচসা হয়। অভিযোগ, তার পরেই বাড়ির ভিতর থেকে ঝাঁটা এনে পুরকর্মীদের উপরে চড়াও হন তিনি। পুলিশকে ওই মহিলা জানান, গাছ লাগালে তাঁর বাড়ির প্রবেশপথের দৃশ্য নষ্ট হয়ে যাবে। তাই তিনি গাছ লাগানোর বিরোধিতা করেন। পরে কর্মীরা পুর উদ্যান বিভাগের মেয়র-পারিষদ দেবাশিস কুমারকে সব জানান। তিনি ওই মহিলার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। |