কয়লা ইয়ার্ড ঘিরে বিক্ষোভ শহরবাসীর |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • ম্যাকলাক্সিগঞ্জ |
এক সময় ‘হাওয়া বদল’ করতে পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা ওই শহরে ছুটতেন বাঙালিরা।
সেখানকারই বাতাসে এখন মারাত্মক দূষণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন ঝাড়খণ্ডের ম্যাকলাক্সিগঞ্জের বাসিন্দারা। তাই রেল এবং ‘সেন্ট্রাল কোলফিল্ডস্ লিমিটেড’ (সিসিএল) সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ওই শহরে কয়লা-ইয়ার্ড তৈরির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার ম্যাকলাক্সিগঞ্জের রেল স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মানুষ। তাতে সামিল হয় শহরের বিভিন্ন স্কুলের প্রতিনিধিরাও।
সরকারি সূ্ত্রের খবর, ম্যাকলাক্সিগঞ্জের কাছেই পিপরওয়াড়ে রয়েছে সিসিএল-এর কয়লা খাদান। ওই খনির পুড়ে যাওয়া কয়লার ইয়ার্ড তৈরি হওয়ার কথা ম্যাকলাক্সিগঞ্জে। সে জন্য ইতিমধ্যেই স্টেশনের আশপাশের অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
শহরবাসীর বক্তব্য, কয়লা ইয়ার্ড তৈরি হলে পরিবেশে দূষণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকবেই। দৌরাত্ম্য বাড়বে কয়লা মাফিয়াদের। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওই শহরের স্কুলে ভর্তি হয় পড়ুয়ারা। স্টেশনের কাছেই কয়েকটি ছাত্রাবাসে থাকে তারা। কয়লা ইয়ার্ড তৈরি হলে তাদের শরীরেরও ক্ষতি হবে। |
|
ম্যাকলাক্সিগঞ্জ স্টেশনে স্থানীয় মানুষের অবরোধ বিক্ষোভ। ছবি: প্রশান্ত মিত্র। |
ম্যাকলাক্সিগঞ্জের একটি স্কুলের অধ্যক্ষ টি ডি যোশী বলেন, “কয়লার গুঁড়ো বাতাসে উড়লে ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাতে প্রভাব পড়বে পঠনপাঠনেও।” এলাকার বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর ধরেই ওই শহরে কয়লা ইয়ার্ড তৈরির চেষ্টা চলছে। একবার কিছুদিনের জন্য স্টেশনের পাশে পোড়া কয়লা নামানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় মানুষ রুখে দাঁড়ানোয় তা বন্ধ হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ম্যাকলাক্সিগঞ্জের স্টেশনে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে ভিড় জমে। পূর্ব-মধ্য রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিক্ষোভকারীদের। তাঁদের অভিযোগ, জেনারেল ম্যানেজার মধুরেশ কুমার তাঁর বিশেষ ট্রেনে এলেও স্টেশনে না-নেমেই চলে যান।
পূর্ব-মধ্য রেল অবশ্য বিক্ষোভের কথা অস্বীকার করেছে। সহকারী জেনারেল ম্যানেজার অজয় শুক্ল বলেন, “রেল এখানে ঠিকাদার। ইয়ার্ড তৈরি করছে সিসিএল। বিক্ষোভের কোনও খবর পাইনি।” তবে সিসিএল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। |
|