প্রতিমা তৈরিতে ধাতু মিশ্রিত রঙের ব্যবহার বন্ধ করতে চায় পরিবেশ দফতর। তবে জোর করে নয়, প্রতিমা শিল্পীদের সাহায্য নিয়েই। পরিবেশবিদদের মতে, প্রতি বছর শ’য়ে শ’য়ে ধাতু মিশ্রিত রঙের প্রতিমা বিসর্জনের পরে নদী বা পুকুরের জলে অতিমাত্রায় দূষণ ছড়াচ্ছে। আর তাতে মৃত্যু হচ্ছে জলজ প্রাণীদের। এই রং ব্যবহার রুখতেই বছর দুয়েক ধরে পুজোর আগে প্রতিমা শিল্পীদের জৈব রং ব্যবহারে অনুপ্রাণিত করার প্রয়াস চালাচ্ছে রাজ্য।
সেই উদ্দেশ্যেই শুক্রবার প্রায় শ’দুয়েক প্রতিমা শিল্পীকে ডেকে এক কর্মশালা করল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। হাজির ছিলেন রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার। |
মন্ত্রী বলেন, “অনেক শিল্পীর ধারণা, ধাতব রঙের তুলনায় জৈব রঙের উজ্জ্বলতা কম। তা ঠিক নয়।” তার প্রমাণ দিতে মন্ত্রী নিজেই মাটির তৈরি একটি বিশ্বকর্মার মূর্তিতে লাল, হলুদ ও সবুজ রং লাগান। তাঁর কথায়, “এর খরচও ধাতু মিশ্রিত রঙের মতোই। বাড়তি লাভ সুস্থ পরিবেশ।”
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান বিনয় দত্ত বলেন, “ধাতু মিশ্রিত রঙে মূলত সীসা, ক্রোমিয়াম, বেরিয়ামের মত বিষাক্ত ধাতু ব্যবহৃত হয়। তা জলে মিশে জল দূষিত করে এবং মাছ-সহ নানা জলজ প্রাণীর ক্ষতি হয়।” তিনি জানান, সচেতনতা বাড়াতেই প্রতি বছর কর্মশালা করা হচ্ছে। কিছুটা সাড়া মিলেছে। তবে সব শিল্পী যাতে জৈব রং ব্যবহার করেন তা নিশ্চিত করতে চায় পর্ষদ। এ দিন কর্মশালায় হাজির প্রত্যেক শিল্পীকেই বিনামূল্যে ২ লিটার করে জৈব রং দেওয়া হয়। |