ম্যাও ডেকে গায়ে গায়ে ঘোরা আর ঘরদোর নোংরা করা এই ছিল অপরাধ। দিনের দিনের পর দিন ধরে এই অপরাধটিই সহ্য করতে পারেননি তিনি। সুযোগ পেয়ে সবার সামনেই বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেন সেই বেড়ালটিকে। এর আগেও তিনটি বেড়ালের মৃতদেহ মিলেছিল। বোঝা যায়নি মৃত্যুর কারণ। এ বার একই জায়গায় আর একটি বেড়ালকে এ ভাবে বাঁশ দিয়ে মারতে দেখে অভিযোগ গেল পুলিশের কাছে। গ্রেফতার হলেন হরিশ মুখার্জি রোডের একটি বহুতলের কেয়ারটেকার সন্তোষ গুরুঙ্গ। |
গত ১১ অগস্ট বিকেলে ঘটনাটি ঘটতে দেখে ক্ষেপে যান ওই বহুতলের বাসিন্দারা। উত্তেজিত হয়ে পড়েন পোষ্যটির আশ্রয়দাত্রী তিতির বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ওই বহুতলের নীচের তলায় তিতিরদেবীর একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। এই ঘটনার পরের দিন দেবশ্রী রায় ফাউন্ডেশনের পরামর্শে ভবানীপুর থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে দোকানের পিছনের পার্কিং থেকে সন্তোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তিতিরদেবী শুক্রবার জানান, তাঁর দোকানের পিছনে মোট ছ’টি পোষা বেড়াল থাকত। গত তিন মাসে আরও তিনটি বেড়াল রহস্যজনক ভাবে মারা যায়। সম্প্রতি বেড়ালের প্রতি সন্তোষের রোষ দেখে তাঁর এখন মনে হচ্ছে, আগের ওই তিনটি বেড়ালকেও সন্তোষই মেরেছেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার পর সন্তোষ এলাকা থেকে পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে দোকান থেকে বেরোনোর সময়ে গাড়ি পার্কিং-এর খালি জায়গায় সন্তোষকে বসে থাকতে দেখেন তিতিরদেবী। তখনই তিনি থানায় খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে সন্তোষকে ধরে ফেলে।
পুলিশের দাবি, জেরায় সন্তোষ জানান, বেড়ালগুলি দোকানের পিছনের জায়গাটি নোংরা করত। প্রচণ্ড ডাকাডাকি করত। ঘটনার দিনও ঝগড়া করেছিল। সেই রাগ থেকেই তিনি বেড়ালটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন। |