গল্ফগ্রিনের উদয়শঙ্কর সরণিতে হকারদের উচ্ছেদ করা গেলেও রাস্তার উপরে রয়ে গেল দুটি বাসস্ট্যান্ড। আর রাস্তার উপর বাসগুলি এমন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে যে পাশাপাশি দুটো গাড়ি যেতে পারে না। ফলে ফুটপাথের আয়তন কমিয়ে রাস্তা চওড়া করার পরিকল্পনা হলেও তাতে কতটা কাজের কাজ হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। |
সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে এই রাস্তার পাশ থেকে বেআইনি দখলদারদের হটিয়ে রাস্তা দখলমুক্ত করা হয়েছে। ওই রাস্তাটি এখন ১২০ ফুট চওড়া। এক দিকে রয়েছে বড় ফুটপাথ, অন্য দিকে দখলমুক্ত ফাঁকা জায়গা। স্থানীয় বরো কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা মাফিক এই ফাঁকা জায়গা এবং ফুটপাথের আয়তন কমিয়ে রাস্তা আরও চওড়া করা হবে। সমগ্র পরিকল্পনাটির জন্য প্রায় বারো লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
এই রাস্তার উপরেই রয়েছে ২৩৪ নম্বর এবং গল্ফগ্রিন-হাওড়া রুটের বাসস্ট্যান্ড। সারা দিন রাস্তার উপরে বাসগুলি পর পর দাঁড়িয়ে থাকায় পাশাপাশি দুটো গাড়ি যেতে পারে না। পুর কর্তৃপক্ষের মতে, ফুটপাথ আর ফাঁকা জায়গার আয়তন কমিয়ে দিলে এই রাস্তা দিয়ে আরও সহজে গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে। দিনের ব্যস্ত সময়ে গাড়ি চলাচলে যে অসুবিধে হয় তাও আর থাকবে না। অন্য দিকে ফুটপাথ দিয়ে পথচারীরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই জায়গায় বাসস্ট্যান্ড থাকলে আড়াল হয়ে যাবে ফুটপাথ। ফলে পথচারীদের ওই ফুটপাথ দিয়ে চলাচলের সম্ভাবনা খুবই কম। বেশির ভাগ পথচারীই রাস্তা দিয়েই চলাচল করবেন। কাছাকাছি কোনও একটা জায়গায় বাসস্ট্যান্ড না সরিয়ে নিয়ে গেলে এই রাস্তার সমস্যা মিটবে না। |
কলকাতা ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে খবর, এই রাস্তায় সারা দিন ধরেই যানবাহনের চাপ বেশি থাকে। কারণ এই রাস্তা দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস এবং দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছনো যায়।
দশ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের তপন দাশগুপ্ত বলেন, “বাসস্ট্যান্ড সরানোর জায়গা খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাই এখনই সরানো যাচ্ছে না। তবে ফুটপাথ আর ফাঁকা জায়গার আয়তন কমিয়ে রাস্তা আরও চওড়া করা হচ্ছে।”
|