পড়ুয়াদের মধ্যে বিজ্ঞানের ভয় দূর করতে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের কার্যকারিতার কথা বলেছেন অনেক শিক্ষাবিদই।
সম্প্রতি তেমনই এক উদ্যোগের ছবি দেখা গেল আমেরিকান সেন্টারে। সেখানে আয়োজিত হয়েছিল একটি কর্মশালা ‘দি ওয়ান্ডার্স অফ সায়েন্স’। গল্পের ছলে প্রযুক্তির সাহায্যে চলল পাঠ।
আমেরিকান সেন্টারের ক্লাস ভর্তি এক দল খুদে পড়ুয়া। সামনে ডায়াসে দাঁড়ানো শিক্ষিকার হাতে একটি বই। ডিজিটাল স্ক্রিনে বার বার ফিরে আসছে নানা ছবি। আর শিক্ষিকা তাদের পড়ে শোনাচ্ছেন সেই বইয়ের নানা অধ্যায়। কেউ দুষ্টুমি করছে না। সকলেই বিস্মিত হয়ে শুনছে।
কী সেই বই? না, কোনও গল্পের বই নয়। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার (রিভারসাইড) অধ্যাপক নাইজেল হিউজের বই ‘মনীষার পাথরের বন’। মনীষা একটি ছোট্ট মেয়ে। তার গল্প নানা রহস্যে ভরা। প্রকৃতির মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে সে। খুঁজে পাচ্ছে নানা রকম জীবাশ্ম, মানুষ, গাছপালা, জীবজন্তু। সে সব থেকে সে পাচ্ছে নানা তথ্য। সবই চলছে রহস্যের মোড়কে।
তার ফলেই তারা এই গল্পের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছে। মনীষার সঙ্গে তারাও গোয়েন্দাদের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবিষ্কার করতে শিখছে। সেই আনন্দটাই ফুটে বেরল তাঁদের কথায়। “এ ভাবে কখনও পড়িনি। খুব মজা হচ্ছে,” বলল খুদে অঙ্কিত।
একই মত তনিমারও। তার কথায়: “আবার পড়া! এই ভেবে আসতে ইচ্ছে করছিল না। কিন্তু না এলে অনেক কিছু মিস করে যেতাম। মজা হচ্ছে। নানা নতুন জিনিস জানতেও পারছি।”
লেখক নাইজেল জানালেন, প্রকৃতির নানা আকর্ষণীয় গল্পের মাধ্যমে ছোটদের মধ্যে বিজ্ঞানকে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই বই। এর ফলে পড়া মুখস্থ করার আতঙ্কটা কিছু হলেও তাঁদের মধ্যে কমবে। শুধু বই লেখাই নয়, তা নিয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বাংলাদেশের ছোট ছেলেমেয়েদের কাছে পৌঁছে যাওয়া, পড়ে শোনানোর কাজও করছেন তিনি। |