শিলিগুড়িতে শিল্পমন্ত্রী
পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন শিল্পমহল
রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাহাড় পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন একাংশ শিল্পোদ্যোগীরা। শুক্রবার শিলিগুড়িতে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের (সিআইআই) উত্তরবঙ্গ ‘কনক্লেভে’ শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সামনে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফেলেন শিল্পোদ্যোগী তথা সিআইআইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান হর্ষ নেওটিয়া বলেন, “দার্জিলিং এবং সিকিমে আমরা বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ শুরু করেছি। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে শান্তি ছাড়া কোথাও উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা আশা করছি যে বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তার সমাধান হবে। রাজনৈতিক দলগুলি সমাধান করে ফেলবে।”
শিল্পোদ্যোগীদের উদ্বেগের কথা জানলেও, শিল্পমন্ত্রী অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এ দিন সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। আলোচনা শেষ হওয়ার পরে পার্থবাবুকে দার্জিলিং প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “রাজনীতির বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।” যদিও অনুষ্ঠানের শেষে চা চক্রে অবশ্য শিল্পমন্ত্রী দার্জিলিঙের পরিস্থিতি নিয়ে সকলে আশ্বাস করেছেন পার্থবাবু। সিআইআইয়ের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, “শিল্পমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী নিজে দার্জিলিং নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। রাজ্য সরকারের কড়া মনোভাবের কথা সকলেই বুঝতে পেরেছে। খুব শিগগিরি পাহাড় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আমাদের বলেছেন।”
শিলিগুড়িতে সিআইআই-এর সভায় শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার ছবিটি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক।
মূলত উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন সম্ভাবনা নিয়েই এ দিন সিআইআই ‘কনক্লেভের’ আয়োজন করে। এদিনের কনক্লেভে চা, পর্যটন এবং কাঠের পরিবর্তে এবার কারিগরি, মানবসম্পদ এবং কৃষি ভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগের আবেদন জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী। প্রায় ১৫ মিনিটের বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী পার্থবাবু উত্তরবঙ্গে মাঝারি এবং মানবসম্পদ সম্পর্কিত শিল্পের কথাই তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “পর্যটন, চা এগুলি তো রয়েইছে। এর বাইরেও আমাদের ভাবতে হবে। উত্তরবঙ্গে কারিগরি শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে। মানবসম্পদ সম্পর্কিত উন্নয়ন যথা শিক্ষাক্ষেত্রেও বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে, কৃষি ভিত্তিক শিল্পের বিনিয়োগের আর্দশ স্থান উত্তরবঙ্গ।” বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের থেকে বেশ কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপও গ্রহণ করা হতে চলেছে বলে শিল্পমন্ত্রী জানিয়েছেন। শিল্পমন্ত্রী জানিয়েছেন, দক্ষিণ দিনাজপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, কালিম্পঙে আইটিআই, কোচবিহারে জুট কারিগরি বিষয়ক কলেজের পাশাপাশি হলদিবাড়িতে বহুমুখি হিমঘর, মালদহে খাদ্য প্রস্তুতকারী দুটি ইউনিট রাজ্য সরকার তৈরি করতে চলেছে।পাশাপাশি শিল্পোদ্যোগীদের কাছে মন্ত্রীর আর্জি, “আপনারা উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসুন, আমি নিজে সাহায্য করব। সরকারের শিল্পনীতি আপনাদের পাশে রয়েছে।”
আলোচনা পর্বের পরে, শিল্পোদ্যোগীদের প্রশ্নেরও উত্তর দেন শিল্পমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ এবং শিল্প সহায়ক পরিকাঠামো নিয়েই এদিন বেশি প্রশ্ন আসে। শুরুতেই সিআইআইয়ের পূর্বাঞ্চল বিভাগের সভাপতি সুধীর দেওরস বলেন, “উত্তরবঙ্গে কারিগরি শিল্প, পর্যটন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বেশ কিছু পরিকাঠামো উন্নতির এখনও সুযোগ রয়েছে। রাজ্য সরকার নিশ্চই এবিষয়ে নজর দেবেন।”
সেই কথার সুর ধরেই শিল্পমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “শিল্পোদ্যোগীদের প্রায় ৯০ শতাংশ প্রস্তাব মনে শিল্পনীতি তৈরি হয়েছে। এ বার উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে শিল্পোদ্যোগীদেরই এগিয়ে আসতে হবে। যারা স্থানীয়, তাঁদের দায়িত্ব আরও বেশি। শিল্পোদ্যোগীদেরই আমরা সড়ক-শিক্ষা কেন্দ্রে তৈরিতে এগিয়ে আসার আর্জি জানাব।” উত্তরবঙ্গের মানবসম্পদ উন্নয়নে দার্জিলিং-কোচবিহার-জলপাইগুড়িতে স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরির প্রস্তার দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.