|
|
|
|
সন্ধ্যা নামলেই আঁধারে ডোবে রাস্তা |
অর্পিতা মজুমদার ও সব্যসাচী ইসলাম • দুর্গাপুর |
জন্মলগ্ন থেকেই সাজানো গোছানো সবুজে ঘেরা শহর দুর্গাপুর। ইস্পাত কারখানার দৌলতে রাস্তাঘাটও মোটামুটি ঝকঝকে তকতকে। শহরে নিজস্ব তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকায় লোডশেডিংয়ের অত্যচারও ততটা নেই। কিন্তু তারপরেও শহরের বেশ কিছু রাস্তার অংশবিশেষ সন্ধ্যা নামলেই ডুবে যায় আঁধারে, বাসিন্দাদের অভিযোগ অন্তত এমনটাই।
গত কয়েক বছরে অনেকটাই বদলেছে দুর্গাপুর শহর। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, বড় হোটেল, বেসরকারি কলেজ, বিভিন্ন শিল্প কারখানা। বাইরে থেকে কর্মসূত্রে বহু মানুষও এসেছেন শহরে। এমনকী কলকাতার পরে দক্ষিণবঙ্গের প্রধান শহর হিসাবে ধরা হয় দুর্গাপুরকে। অথচ সেই শহরেই দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু রাস্তায় আলো জ্বলছে না মাসের পর মাস। যেমন, এসএন ব্যানার্জ্জী রোড, সেকেন্ডারি মোড় থেকে আপার সেকেন্ডারি, লাল ময়দান থেকে নেতাজি মোড়, কুমারমঙ্গলম পার্কের সামনে এ জোন গামী রাস্তা, সিএমইআরআই কলোনির সামনের রাস্তা জুড়ে শুধুই অন্ধকার। কর্মব্যস্ত এই সমস্ত রাস্তায় সন্ধ্যা নামলে ভরসা একমাত্র অন্যান্য গাড়ির হেডলাইট। |
|
দুর্গাপুরের কুমারমঙ্গলম পার্কের সামনে।—নিজস্ব চিত্র। |
ছড়ানো-ছেটানো দুর্গাপুরে জনবসতি, দোকানপাট, বাজার সবই দূরে দূরে। অধিকাংশ রাস্তার দু’পাশই জনমানবহীন, শুনশান। ফলে আলো না থাকলে রাস্তায় চলাচল বেশ ঝুঁকির। চুরি, ছিনতাইয়ের ভয় তো আছে। তার থেকেও বেশি ভয় দুর্ঘটনার। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় আলো না থাকার সুযোগ নিয়ে মহিলাদের ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনা তো আকছারই ঘটছে। কামদুনি, দিল্লী, এমনকী দুর্গাপুরেও কয়েক মাস আগে রাতের শুনশান রাস্তায় একা পেয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে মহিলাকে। ডিএসপি টাউনশিপের এ জোনের বাসিন্দা আশিস পাণ্ডে বলেন, “মেয়েরা নানা কাজে বাইরে থাকে। ফিরতে অনেকসময় রাতও হয়। কাজেই রাস্তায় আলো না থাকলে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় তো হয়ই।” সিএমইআরআই কলোনির এক বাসিন্দা মামন ঘোষ বলেন, “অন্ধকার রাস্তায় বাইক বা সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ যদি গাছগাছালির ভিতর থেকে কোনও কুকুর রাস্তায় চলে আসে তাহলে দুর্ঘটনা অনিবার্য।” দীর্ঘদিন ধরে ওই কলোনির সামনের রাস্তার আলো জ্বলে না বলেও তাঁর অভিযোগ। খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, পুরসভা ছাড়াও দুর্গাপুর শহরের রাস্তার আলোর দায়িত্বে আছেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ। পুরসভার মেয়র পারিষদ (পূর্ত) প্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুরসভার হাতে থাকা রাস্তাগুলির বেশ কিছু অংশে নতুন আলো লাগানো হয়েছে। তবে টাউনশিপের রাস্তার আলো দেখভালের দায়িত্বে আছে ডিএসপি। ডিএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়বৃষ্টিতে গাছ পড়ে বেশ কিছু রাস্তার আলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এক আধিকারিক। |
|
|
|
|
|