চৈতন্যজন্মভূমি তথা বৈষ্ণবতীর্থ নবদ্বীপে পর্যটকের ভিড় বারো মাসই। অথচ পর্যটকের তুলনায় থাকার বন্দোবস্ত এখানে নিতান্তই অপ্রতুল। ভাল হোটেল বা সরকারি অতিথিশালা নেই। ভরসা কেবল বিভিন্ন মঠ- মন্দিরের অতিথি নিবাস ও মাঝারি মানের কিছু হোটেল।
সেই অভাব মেটাতে নবদ্বীপে একটি ত্রিতল অতিথিশালা তৈরি করছে রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগর বিভাগ। নবদ্বীপের বিধায়ক তথা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী পুণ্ডরীকাক্ষ সাহার উদ্যোগে প্রায় দু’ কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠছে ওই অতিথিশালা। নবদ্বীপে গঙ্গাতীরে ফাঁসিতলা অঞ্চলে তিরিশ কাঠা জমির উপর বাগান-সহ অতিথিশালা নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়েছে। বুধবার কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিভাগীয় মন্ত্রী পুণ্ডরীকাক্ষ বাবু। পরে তিনি বলেন, “জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের তরফে একটি অতিথিশালা তৈরি কারনো হচ্ছে। চলতি বছরেই এই নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।”
অতিথিশালার সঙ্গেই থাকছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল পরীক্ষার একটি ল্যাবরেটরি। এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কৃষ্ণনগর সদর বিভাগের সহকারী বাস্তুকার তাপসরঞ্জন বেরা বলেন, “তিন তলা উবনের এক তলায় থাকছে জলের নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্র। পরে একটি পূর্ণাঙ্গ ল্যাবরেটরি হবে। এখানে যেমন আমাদের দফতরের তরফে সরবরাহ করা জলের মান পরীক্ষা করা হবে। তেমনই সাধারণ মানুষও তাদের ব্যবহৃত পানীয় জলের নমুনা পরীক্ষা করাতে পারবেন।” দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দোতলা এবং তিন তলা মিলিয়ে আপাতত পাঁচটি ঘর, মিটিংরুম তৈরি হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরে নতুন অতিথিশালা ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে। |