দু’টি ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে জটিলতা কাটল। সৌজন্যে, ভোটাভুটি থেকে বামেদের সরে দাঁড়ানো ও জয়ী বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থীদের বামেদের সমর্থন দান।
সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে জেলার ৬টি পঞ্চায়েত সমিতিতে কোনও রাজনৈতিক শক্তিই একক গরিষ্ঠতা পায়নি। ওই পঞ্চায়েত সমিতিগুলিতে কারা বোর্ড গড়বে তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা চলছিল। শুক্র ও শনিবার বোর্ড গঠনের দিন স্থির হয়েছে। ওই ছয় পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে সাগরদিঘি ও সুতি-২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনকে ঘিরে জটিলতা কেটেছে। সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির ৩৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১৬টি। কংগ্রেস ও বামেদের ঝুলিতে গেছে যথাক্রমে ৯টি ও ৮টি আসন। বৃহস্পতিবার সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য জ্যোতিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় খোলাখুলি জানিয়েছেন, “আমাদের সদস্যরা শপথ নেওয়ার পর বেরিয়ে আসবেন। ভোটাভুটিতে তাঁরা থাকবেন না।” বাম সদস্যরা ভোটাভুটি অনুপস্থিত থাকার দরুন একক বৃহত্তম দল হিসেবে শাসকদল ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গড়বে।
সুতি-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি লতিফুদ্দিন বিশ্বাস বিক্ষুব্ধ প্রার্থী দাঁড় করান। তিন গোঁজ প্রার্থী নির্বাচনে জয়ীও হন। ২৮ আসনের ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে ১২টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। বামফ্রন্টের আসন সংখ্যা ১১। তৃণমূল পেয়েছে সাকুল্যে ২টি আসন। লতিফুদ্দিন বিশ্বাসের ঘোষণা, “বিক্ষুব্ধরা বোর্ড গঠনে বামফ্রন্টকে সমর্থন করবে।” ফলস্বরুপ ১৪ জন সদ্যসের সমর্থন নিয়ে বামেরা বোর্ড গঠন করতে যাচ্ছেন। ভোটের আগে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব দাবি করেছিল, বিক্ষুব্ধরা জেতার পর দলে ফিরে আসবেন। কিন্তু সুতিতে জয়ী বিক্ষুব্ধরা ‘জাত শত্রু’ সিপিএমকে সমর্থন করায় অস্বস্তিতে শাসকদল। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী সুব্রত সাহা বলেন, ‘‘বিক্ষুব্ধদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে অতি সত্ত্বর পদক্ষেপ করা হবে।” লতিফুদ্দিন বিশ্বাস অবশ্য অতশত ভাবনার মধ্যে নেই। তিনি বলেন, “বামেদের সমর্থন করেছি। দল যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিক।” তবে তিনি যে আগ বাড়িয়ে দল ছাড়বেন না সে কথাও জানিয়েছেন। |