সাইনার হায়দরাবাদ বা সিন্ধুর ওয়ারিয়র্স ট্রফি কোথায় যাবে তা জানতে আরও দুটো দিন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু প্রথম আইবিএল সম্ভবত তাঁর সবচেয়ে সফল নায়ককে ফাইনালের আগেই পেয়ে গিয়েছে। তিনি পুলেল্লা গোপীচন্দ।
তাঁর অ্যাকাডেমির ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে ২৬ জনই এই টুর্নামেন্টে খেলছেন। এবং শুধু খেলা নয়, বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের মানচিত্রে ভারতকে এক ধাক্কায় উপরে তুলে দিয়েছেন অনেকটাই। বৃহস্পতিবার দুপুরেই হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন। এয়ারপোর্ট থেকে গাড়িতে যেতে যেতে মোবাইলে ধরা হলে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত শোনাল গোপীকে, “ব্যক্তিগত ভাবে আমি তো খুশিই। কারণ, ভারতীয় ব্যাডমিন্টনে একটা জোয়ার এনে দিয়েছে আইবিএল। তবে আরও খুশি আমার অ্যাকাডেমির ছাত্র-ছাত্রীদের পারফরম্যান্স দেখে। অ্যাকাডেমির ৩০ জনের মধ্যে ২৬ জনই এখানে খেলছে। জাতীয় শিবির আর অ্যাকাডেমিতে যে পরিশ্রমটা করেছি তা যে বিফলে যায়নি সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছে সাইনা, সিন্ধু, শ্রীকান্ত, গুরুসাইয়ের সাফল্য। এটাই তো পুরস্কার।”
গুরু যেমন নিজের পরিশ্রম বিফলে যায়নি বলে খুশি, তেমনই তাঁর এক নম্বর ছাত্রীও খুশি আইবিএলে গুরুকে কিছু ফিরিয়ে দিতে পেরেছিলেন বলে। বুধবারই তাঁর দল ফাইনালে উঠে গিয়েছে। এ দিন সাইনা নেহওয়ালকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলছিলেন, “গোপী স্যার দিনের পর দিন আমাদের নিয়ে পরিশ্রম করে গিয়েছেন। ওঁর পরিশ্রমের মূল্য যে আমরা দিতে পারছি, তাতে উনিও নিশ্চয়ই খুশি হবেন।”
গোপী আরও মনে করছেন, আইবিএল মারফত ভারতে ব্যাডমিন্টনের জনপ্রিয়তা বাড়ার পাশাপাশি প্লেয়ারদের স্কিলও অনেকটাই বেড়ে যাবে। যার ফলটা পাওয়া যেতে পারে রিও অলিম্পিকে। “আইবিএলের দুটো দিক আমি দেখতে পাচ্ছি। এক, জনপ্রিয়তা। ভাবতেই পারিনি একের পর এক ম্যাচে আমরা হাউসফুল পাব। আর দুই, প্লেয়ারদের দক্ষতা। এই টুর্নামেন্টে খেলে আমাদের প্লেয়ারদের খেলার মান অনেক ভাল হয়ে যাবে। কারণ অনেক ভাল ভাল বিদেশি প্লেয়ারের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাচ্ছে ভারতের ছেলে-মেয়েরা।”
ঠিক এই কারণেই রিও অলিম্পিকে ভারতের ব্যাডমিন্টন নিয়ে যে স্বপ্ন দেখা যায়, তা বলছিলেন গোপী। শুধু গোপী নয়। সাইনা থেকে জ্বালা, মধুমিতা থেকে অশ্বিনী সবার সঙ্গে কথা বললে একটাই ছবি উঠে আসছে। আত্মবিশ্বাসের। প্রায় একই কথা শোনা যাচ্ছে সবার মুখ থেকে, “বিদেশি তারকাদের সঙ্গে খেললে আমাদের প্লেয়ারদের স্কিল বাড়বেই। এর পর আরও অনেক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাবে ওরা। সব মিলিয়ে রিওর আগে প্রস্তুতিটা ভালই হবে। রিও অলিম্পিকে আমাদের পদক সংখ্যাটা না বাড়লে অবাকই হব।” |