পথ অবরোধ, ধর্না উলুবেড়িয়া পুরসভায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
প্রতি বছর বর্ষাতে তাঁদের ডুবতে হয়। কোনও ব্যবস্থাই নেয় না পুরসভা এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাস্তা অবরোধ করলেন উলুবেড়িয়া পুরসভার ৬ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে উলুবেড়িয়া ওটি রোড। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ উঠলেও ক্ষুব্ধ জনতা হাজির হয় উলুবেড়িয়া পুরসভায়। দীর্ঘ ক্ষণ ঘেরাও করে রাখা হয় ভাইস-চেয়ারম্যান নাজিমা খানকে। তিনি সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে ফিরে যান বাসিন্দারা। |
জল থইথই সংসার। উলুবেড়িয়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গারামপুরে নিজস্ব চিত্র। |
উলুবেড়িয়া পুরসভার ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাজারপাড়া, গঙ্গারামপুর ৩ নম্বর কলোনি, বাহিগঙ্গারামপুর, বাজারপাড়া মুসলিমপাড়া-সহ প্রায় ১৫টি এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ টানা দশ দিন ধরে জলমগ্ন। পানীয় জলের কলগুলিও জলের তলায়। ঘরের ভেতরে এক হাঁটু জল, তাঁর মধ্যেই চৌকির উপর চৌকি রেখে বাস করছেন সাধারণ মানুষ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বছর এই দুর্ভোগের কথা পুরসভাকে জানালেও কোনও কাজ হয় না। বাধ্য হয়ে বিষয়টি পুর কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্যে অবরোধ-ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত। কাজ না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলনের জন্যও তাঁরা প্রস্তুত।
কী বলছেন এলাকার কাউন্সিলেরা? ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের শুক্লা ঘোষ বলেন, “অত্যধিক বৃষ্টির জন্যে জল বেশি দাঁড়িয়ে গেছে। আমরা দ্রুততার সঙ্গে পাম্প চালিয়ে জল নিকাশির ব্যবস্থা করছি।” অন্য দিকে, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর পাপিয়া মণ্ডল এই অবস্থার জন্য দুষেছেন পুরসভাকেই। তাঁর কথায়, “তৃণমূল বোর্ড টাকা নিয়ে কোনও রকম নিকাশি ব্যবস্থা না দেখেই বিল্ডিংয়ের অনুমতি দিচ্ছে। ফলে রাস্তার ধারে নিকাশি নালাগুলি বন্ধ হয়েই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার আগে থেকে আমি বার বার পুরসভাকে এই সমস্যার কথা লিখিত জানালেও কেউ কোনও রকম কর্ণপাত করেনি।”
ভাইস-চেয়ারম্যান তৃণমূলের নাজিমা খান বলেন, “বেশি বৃষ্টি হওয়ার জন্যে সমস্ত ওয়ার্ডেই বেশি জল জমে গেছে। তবে আমরা দ্রুত নিকাশির চেষ্টা করছি। আগের বোর্ড বেআইনি ভাবে বিল্ডিংয়ের অনুমতি দেওয়ার জন্যই এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।” অন্য দিকে, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান কংগ্রেসের সাইদুর রহমান বলেন, “আমরা কংগ্রেস-তৃণমূল জোট বেঁধেই আগের বোর্ড গড়ি। ক্ষমতায় থাকাকালীন কোনও বেআইনি বিল্ডিংয়ের অনুমতি দিইনি।” |