|
|
|
|
পিএসি নির্বাচনে হেরেও আশা দেখছে তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দলীয় প্রার্থীর নাম মনোনীত করতে ভুলে যাওয়ায় গত বার হারতে হয়েছিল। আর এ বারে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র নির্বাচনে নেমেও হারলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। আজ পিএসি-র দু’টি পদে ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হন কংগ্রেসের অশ্বিনীকুমার ও এডিএমকে-র ভি মৈত্রেয়ন। প্রসঙ্গত, বর্তমানে যৌথ সংসদীয় কমিটিতেও (জেপিসি) তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই। আর আজকের হারের ফলে সংসদের উভয় কক্ষ থেকেই পিএসি-তে কোনও প্রতিনিধি থাকল না তৃণমূলের।
হারলেও প্রাপ্ত ভোটের অঙ্ক কষে তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য দাবি করেছেন, রাজ্যসভায় ৯ জন সদস্য থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ৪২টি ভোট পেয়েছেন। যার অর্থ, রাজ্যসভার অধিকাংশ আঞ্চলিক দল তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে যা তাৎপর্যপূর্ণ। সুখেন্দুশেখর বলেন, “বাম ও বিজেপি এক জোট হয়ে আজ মৈত্রয়নকে ভোট দিয়েছে। না হলে আমার জিত নিশ্চিত ছিল। এতে বামেদের অবস্থান সাফ হয়ে গিয়েছে।”
ইউপিএ জোট সরকার ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর থেকেই অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি দলগুলিকে নিয়ে জোট করার জন্য সক্রিয় হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক ডেরেক ও’ব্রায়েনের দাবি, “দল আজ ডিএমকে, জেডিইউ, সপা, আরজেডি, বিজেডি, শিরোমণি অকালি দল, অগপ-র মতো আঞ্চলিক দলগুলির ভোট পেয়েছে। দলনেত্রী যে আঞ্চলিক জোট গড়ে তোলার দাবি তুলেছেন, তারই খণ্ডচিত্র আজ ওই নির্বাচনে ফুটে উঠেছে।” টু-জি কেলেঙ্কারি নিয়ে গঠিত জেপিসি-তে সদস্য নিয়োগ নিয়ে সরকার ও বিরোধীদের সংঘাত বাধে। কংগ্রেস সাংসদ নাচিয়াপ্পন কেন্দ্রে মন্ত্রী হওয়ায় এবং রাজ্যসভায় ডিএমকে-র প্রাক্তন সদস্য তিরুচি শিবার মেয়াদ শেষ হওয়ায় জেপিসি-কে দু’টি পদ খালি হয়েছিল। সেই শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং মনোনীত সদস্য অশোক গঙ্গোপাধ্যায়কে সদস্য করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু বাম-বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, এক জন কংগ্রেস সাংসদের বদলে আর একজন কংগ্রেস সাংসদকে জেপিসি-র সদস্য করায় তাঁদের আপত্তি নেই। কিন্তু অশোকবাবুর মতো এক জন কংগ্রেস সমর্থিত মনোনীত সাংসদকে জেপিসি-তে নেওয়া হলে ওই কমিটিতে শাসক ও বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে ভারসাম্য বিঘ্ন হতে চলেছে। |
|
|
|
|
|