|
|
|
|
সুষমার যোদ্ধাদের মোদীর সান্নিধ্যে আনলেন রাজনাথ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
লোকসভায় লালকৃষ্ণ আডবাণী ও সুষমা স্বরাজের নেতৃত্বে যাঁরা গলা ফাটান, আজ তাঁদের সঙ্গেই নরেন্দ্র মোদীর আলাপচারিতার সুযোগ করে দিলেন খোদ বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ। ঘটনাচক্রে, মোদীকে ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণার ব্যাপারে আডবাণী-সুষমার আপত্তি সুবিদিত।
সভাপতি হওয়ার পর এই প্রথম নিজের বাড়িতে নৈশভোজে দলের সমস্ত সাংসদকে আজ নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজনাথ। মজার কথা, আমন্ত্রণটা শুধু সাংসদদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে মোটামুটি ভাবে সমস্ত শীর্ষ নেতাই তার আওতায় চলে আসতেন। কিন্তু রাজনাথ সংসদীয় বোর্ডের সদস্যদেরও (যাঁদের অন্যতম মোদী) আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কাজেই মোদীকে আসরে হাজির করাতেই রাজনাথ এই চালটা চেলেছেন বলে অনেকেরই ধারণা। নিমন্ত্রণ পেয়ে গুজরাত থেকে আজ বিকেলেই দিল্লি উড়ে আসেন মোদী।
দলের সিংহভাগ কর্মী, এমনকী অরুণ জেটলির মতো শীর্ষ নেতাদের অনেকেই মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণার পক্ষে। কিন্তু রাজনাথদের মাথায় রাখতে হচ্ছে যে, জেটলি রাজ্যসভার নেতা। আর মোদী দলের তরফে লোকসভা ভোটের প্রচারের দায়িত্বপ্রাপ্ত। কাজেই লোকসভার সাংসদদের মোদীর সান্নিধ্যে আনা প্রয়োজন। তবে লোকসভায় জমি বিল নিয়ে ভোটাভুটি চলতে থাকায় সুষমা-সহ লোকসভার অনেক সাংসদই রাজনাথের বাড়ি পৌঁছন বেশ রাতে। আডবাণী আসেন কন্যা প্রতিভাকে নিয়ে। মোদী অবশ্য রাত দশটার কিছু আগেই এসে গিয়েছিলেন।
বিজেপি সূত্রে বলা হচ্ছে, আজকের আসর নিছকই নৈশভোজ ছিল না। লোকসভা ভোটে প্রতিটি কেন্দ্র ধরে ধরে কী ভাবে এগোতে হবে, সাংসদদের তা প্রেজেন্টেশন-সহ বোঝানোর কথা ছিল। যদিও সংসদ ফেরত নেতাদের আসতে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় সেটি আজ আর হয়নি। তবে মোদী ঘরোয়া আলোচনায় সাংসদদের নিজের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন।
এর আগে বিজেপিতে সদ্য যোগ দেওয়া নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ও অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। বিজেপি সূত্রের মতে, যুবসমাজকে আকৃষ্ট করার ব্যাপারেই সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছেন মোদী। দলের যুবমোর্চার নেতা অনুরাগের সঙ্গে সেই বিষয়েই সবিস্তার আলোচনা হয় তাঁর।
ঘটনাচক্রে, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও এখন দিল্লিতে। সঙ্ঘের শীর্ষ নেতারা গত কালই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁরাও পৃথক বৈঠক করেছেন। বস্তুত, সঙ্ঘ চায়, বিজেপি আগে মোদীকে নিয়ে ঐকমত্যে আসুক। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আজ রাজনাথের বাড়ি থেকে মোদী না বেরোনো পর্যন্ত আডবাণী-সুষমাও সেখানে ছিলেন। যে ঘটনাকে বিজেপির তরফে মোদী-প্রসঙ্গে ঐক্যের বার্তা দেওয়ার প্রয়াস হিসেবেই দেখছেন অনেকে। |
|
|
|
|
|