যুবককে কীটনাশক খাইয়ে খুন করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল বাবা, মা ও মেয়ের। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সুধীর কুমার ওই সাজা শোনান। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন আশা সাহু, বাবা বাবলু সাহু ও মা ডলি সাহু। মুরারই থানার ধনঞ্জয়পুর গ্রামে তাদের বাড়ি।
সরকারী আইনজীবী নজফুল হক জানান, ধনঞ্জয়পুর গ্রামের যুবক উদয় মালের সঙ্গে ওই গ্রামেরই বাবলু সাহুর মেয়ে আশার সম্পর্ক ছিল। দু’জনে এক সঙ্গে ছবি তোলা ছাড়াও উভয়ের মধ্যে চিঠিপত্রের আদানপ্রদান ছিল। তাদের সম্পর্কের কথা পড়শিরাও কথা জানতেন। আশাদের বাড়িতে উদয় মালের যাতায়াতও ছিল। পরবর্তীতে আশার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়ে গেলে উদয় মেয়েটির বাড়ি যাওয়া ছেড়ে দেয়।
অভিযোগ উঠেছিল, ২০১০ সালের ২ জুন রাত আটটা নাগাদ আশা উদয়কে তাদের বাড়িতে ডেকে পাঠায়। মেয়েটির বাড়িতেই রাতে খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে ধনঞ্জয়। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বাবলু সাহুর মুখে ভাইয়ের অসুস্থতার খবর শুনে দাদা হারাধন মাল ৩-৪ জন পড়শিকে নিয়ে আশাদের বাড়িতে যান। কী করে উদয় অসুস্থ হল তার সদুত্তর দিতে পারেনি আশার পরিবারের লোকজন। তবে তাকে পরিকল্পিত ভাবে মেরে ফেলার জন্য আশার পরিবারের লোকেরা ভাতের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছিল উদয়।
রাতেই ওই যুবককে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই গভীর রাতে মৃত্যু হয় তার। সরকারী আইনজীবী জানান, পুলিশ প্রথমে মামলা শুরু না করায় ২০১০ সালের জুন মাসের শেষের দিকে নিহতের মা শিবাণী মাল আদালতে আশা সাহু, বাবলু সাহু, ডলি সাহু-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সোমবার দু’জনকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক। বাকি তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বৃহস্পতিবার বিচারক খুনের দায়ে তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনান। |