পঞ্চায়েত ভোটে দু’টি আসনে জেতার পরেও কালনা ১ ব্লকের কাঁকুড়িয়ায় কারচুপি করে তাঁদের হারানো হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করল সিপিএমের কালনা জোনাল কমিটি। দলের তরফে আইনজীবী প্রভাত সাহা বলেন, “১৩ অগস্ট সিভিল জজ জুনিয়র ডিভিশনে মামলাটি শুরু হয়েছে। যে দু’টি আসনে কারচুপি হয়েছে সেই ব্যালট পেপার যাতে আদালতে এনে পরীক্ষা করা হয় সে ব্যাপারে পঞ্চায়েত আইন মেনে টাকাও জমা দেওয়া হয়েছে। মামলায় জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, বিডিও, কাউন্টিং অফিসার-সহ পাঁচ সরকারি আধিকারিককে যুক্ত করা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার শহরে কালনা জোনাল কমিটির ভবনে একটি সাংবাদিক বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন দলের জোনাল কমিটির সম্পাদক করুণা ভট্টাচার্য, জোনাল কমিটির সদস্য বীরেন ঘোষ, কালনা উত্তর লোকাল কমিটির সম্পাদক সুশীল সিংহ। সিপিএমের দাবি, শুরু থেকেই তৃণমূল প্রচারে বাধা দিচ্ছে, প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এমনকী কালনা জোনাল কমিটির এলাকায় ২৭৯ জনকে মিথ্যা মামলায় পুলিশ জড়িয়েছে বলেও সিপিএমের অভিযোগ। তাদের দাবি, কাঁকুড়িয়া ও পূর্ব সাতগাছিয়ায় বহু সিপিএম কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া ঘরছাড়াদের ফেরাতেও প্রশাসনের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে কাঁকুড়িয়া পঞ্চায়েতে সবথেকে বেশি কারচুপি হয়েছে বলে সিপিএমের দাবি। এখানে ১৪টি আসনের মধ্যে সিপিএম পায় ৮টি ও তৃণমূল পায় ৬টি আসন। সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য বীরেনবাবু জানান, প্রথমে মেদগাছির একটি আসনে তৃণমূল পুনর্গণনা চায়। সেখানে জিতেছিলেন দলেরই স্বপন হেমব্রম।
বীরেনবাবুর দাবি, কাঁকুড়িয়ায় প্রধানের আসনটি এবার তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। কিন্তু নিজেদের তফসিলি কোনও প্রার্থী ওই পঞ্চায়েতে না জেতায় তৃণমূল এটা ছেড়ে রানিবন্ধ গ্রামের ৭০ নম্বর বুথে গণনা চায়। বীরেনবাবু বলেন, “আমাদের প্রার্থী প্রণতি ক্ষেত্রপাল ৩৩ ভোটে জিতেছিলেন। কিন্তু পুনর্গণনার পরে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী বকুল মালিক ১৯ ভোটে জিতেছে। কাঁকুড়িয়ার ৭ নম্বর আসনেও ১৩০ ভোটে জেতা প্রার্থী মানস কোঙারকে জোর করে পুনর্গণনায় হারিয়ে দেওয়া হয়।”
তৃণমূল অবশ্য জোর করে হারানোর অভিযোগ মানতে চায়নি। দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, “সর্বত্রই অত্যন্ত নির্বিঘ্নে ভোট মিটেছে। সিপিএম ৩৪ বছর ধরে সন্ত্রাস চালিয়ে ভোট জিতেছিল, এখন আমাদের দিকে আঙুল তোলার আগে নিজেদের দেখুক।” |