রক্ষনাবেক্ষণ অভাবে বেহাল পড়েছে ইসলামপুর সংশোধনাগার ও পুলিশের আবাসন। তার মধ্যেই পরিবার নিয়েই থাকতে হচ্ছে কর্মচারীদের। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের সরকারি আবাসনের এই বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরেই। বারবার প্রশাসনের কর্তাদের বলেও লাভ হয়নি। কর্মচারীদের অভিযোগ, ইসলামপুর থানা থেকে সংশোধনগার-সহ কিছু দফতরের আবাসনগুলি দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। কোথাও ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে। কোথাও ঘরের দরজা জানালা ভেঙে গিয়েছে। মহকুমাশাসক নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, “বেহাল আবাসনের তালিকা তৈরি-সহ সমস্যা জানিয়ে তা সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।” আবাসনগুলি তৈরি থেকে সংস্কার দায়িত্ব পূর্ত দফতরের। সেখানে পূর্ত দফতর কোনও কাজই করেনি বলে অভিযোগ। কর্মচারীদের একাংশের দাবি, ছাদের চাঙর ভাঙা, জলের পাইপ নষ্ট। অনেক সময় জল ব্যবহার করা যায় না। সব পূর্ত দফতরের দেখার কথা। কিছুই হয়নি। ইসলামপুরের উপ সংশোধনাগারের হিসাব নিয়ন্ত্রক সত্যদ্বীপ রায় বলেন, “ঘরের দরজা জানলা ভেঙে পড়েছে। তা খুলে রাখার পর্যন্ত উপায় নেই। খুব কষ্ট করেই থাকতে হচ্ছ।” একই অভিযোগ ইসলামপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর প্রণব সরকারের। তিনি বলেন, “সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের ভিতরে জল ঢুকে পড়ে। স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে খুবই সমস্যার মুখে পড়েছি।”
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ জেলা সম্পাদক অরূপ দাস। তিনি বলেন, “সরকারি আবাসনের হাল খুবই খারাপ। বিষয়টি নিয়ে পূর্তদফতর ও মহকুমা প্রশাসনে বারবার বলেও লাভ হয়নি।” এই প্রসঙ্গে পূর্ত দফতরের ইসলামপুরের মহকুমার বাস্তুকার সুজিত দাস বলেন, “পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা সকল সরকারি আবাসনগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতির একটি রিপোর্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হচ্ছে।” |