তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। বুধবার বিকেলে শীতলখুচি থানার ছোট শালবাড়ি এলাকার আকরারহাটে ঘটনাটি ঘটেছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। জখমদের মধ্যে তৃণমূলের ছোট শালবাড়ি অঞ্চল সভাপতি ছামাদ মিঁয়া-সহ ৮ জনকে মাথাভাঙা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, ‘‘গোলমালের জেরে বেশ কয়েকজন জখম হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ছোট শালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আবেদন আলি মিয়াঁর অনুগামী বলে পরিচিত ছোট শালবাড়ি অঞ্চল সভাপতির পূত্রবধূ আনোয়ারা বিবি। প্রধান নির্বাচন নিয়েও তাদের সঙ্গে দলের কিসান খেতমজুর সংগঠনের ব্লক সভাপতি সায়ের আলি মিঁয়ার অনুগামীদের তাপান উতোর চলছিল।
নবনির্বাচিত প্রধান সায়ের আলির অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্য, এলাকার বাসিন্দা, ছাত্রছাত্রীদের এলাকায় বসবাসের শংসাপত্র দিচ্ছেন না অভিযোগে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। পরে লাঠিসোটা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। শীতলখুচির বিধায়ক বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “সিপিএমের মদতে কিছু দুষ্কৃতী পরিকল্পিতভাবে অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে হামলা চালান। গোষ্ঠীদ্বন্দের ব্যাপার নেই।” সিপিএম অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গোলমালের সময় অঞ্চল সভাপতিকে মারধর করে তার বাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। আবেদ আলি মিঁয়া বলেন, “নতুন প্রধান কাজকর্ম বুঝে নিতে একটু সময় লাগছে। সামান্য বিষয়কে অজুহাত করে সায়ের আলি সিপিএমের লোকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।” সায়ের আলি মিঁয়ার দাবি, তাঁর অনুগামী পঞ্চায়েতরা, এলাকার বাসিন্দারা শংসাপত্র না পেয়ে বিপাকে পড়েন। তা নিয়ে বাসিন্দারাই প্রতিবাদে নামেন। সেখানে তাঁর কয়েকজন অনুগামীও যান। তাদের ওপরও হামলা হয়। |