বাগডোগরার জ্যোতিনগরের বাসিন্দা সুনীল কান্তি দের গলব্লাডারের অস্ত্রোপচার নিয়ে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ মানতে রাজি নন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, দক্ষিণ ভারতের একটি নামকরা কেন্দ্রের রিপোর্টে সুনীলবাবুর গলব্লাডারে পাথর রয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। রিপোর্টটি গত ৪ মে’র। তা দেখেই শল্য চিকিৎসক সুনীলবাবুর গলব্লাডারের পাথর বার করতে চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করেন বলে জানিয়েছেন। যদিও অস্ত্রোপচারের পর কোনও পাথর গলব্লাডারে পাওয়া যায়নি। এর পরেই পরিবারের তরফে ভুল চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিকিৎসক এবং নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ হয়।
রোগীর পরিবারের তরফে তাঁর মেয়ে সঞ্চিতা দেবী অভিযোগ করেন, “মাস চারেক আগে ওই রিপোর্ট করা হয়েছিল। তখন গল ব্লাডারে পাথর থাকলেও এখন কী পরিস্থিতি তা অস্ত্রোপচারের আগে চিকিৎসকের দেখে নেওয়া জরুরি ছিল। অথচ তিনি তা করেননি।” সঞ্চিতাদেবীর কথায়, পেটের ব্যথা নিয়ে বাবাকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানোর পর এক জন চিকিৎসক দেখেছেন। তিনি শল্য চিকিৎসককে রেফার করেন। সেই মতো শল্য চিকিৎসক ঠিক করা হয়। তবে অস্ত্রোপচারের আগে শল্য চিকিৎসক বিস্তারিত খোঁজ খবর নেননি। রোগীর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেননি। নার্সিংহোমের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক রুমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান থেকে করা আলট্রাসোনগ্রাফির রিপোর্টে গলব্লাডারে পাথর থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা রয়েছে। তাই নতুন করে ওই পরীক্ষা করা হয়নি। শিলিগুড়ির একজন নাম করা শল্য চিকিৎসককে দিয়ে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করেছি আমরা। তাই এ ক্ষেত্রে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে এর জন্য দোষারোপ করা ঠিক নয়।”
উল্লেখ্য, সোমবার পেটের ব্যথা নিয়ে মাটিগাড়ার উত্তরায়ণ উপনগরীর এক নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়ার পর মঙ্গলবার সেখানে সুনীলবাবুর গলব্লাডারের অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তার আগে চার মাস সেখানে সুনীলবাবু চিকিৎসাও করাচ্ছেন বলে পরিবারের লোকদের দাবি। |