ব্লকের ১৩টি পঞ্চায়েত এলাকার ভরসা মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অথচ সেখানেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স নেই, হাসপাতাল চত্বরও আবর্জনায় ভরা। এই সমস্ত অভিযোগ জানিয়েই মঙ্গলবার প্রায় শ’দুয়েক মানুষের সাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় জেলা, মহকুমা এবং ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে।
এ দিনই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়ার পরে মারা গিয়েছিল দুর্ঘটনায় আহত এক স্কুলছাত্রী। তার পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রীর। এ নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। বিক্ষোভ চলাকালীনই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স কিছুই নেই। হাসপাতাল সূত্রেও জানা গিয়েছে, যেখানে পাঁচ জন চিকিৎসক দরকার সেখানে বিএমওএইচকে নিয়ে রয়েছেন দু’জন। এছাড়া হাসপাতাল চত্বরের একমাত্র শৌচাগারটি বন্ধ পড়ে থাকে। |
ফলে সমস্যায় পড়েন রোগীর পরিবারের লোকেরা। এর সঙ্গেই সুইপার থাকলেও হাসপাতাল নোংরা আবর্জনায় ভর্তি, হাসপাতাল চত্বরেই একাধিক বেসরকারি গাড়ি রাখা থাকে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ। এলাকাবাসীদের দাবি, চোখের সামনে দেখলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। এছাড়া সন্ধ্যা নামলেই হাসপাতাল চত্বরে বহিরাগতদের মদের আসর বসে বলেও স্থানীয়রা জানান। এই সমস্ত অভিযোগই এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকের কাছে পাঠানো হয়।
অভিযোগ পেয়ে কালনার এসিএমওএইচ সুভাষচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের অভাবের কথা আগেও কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আবারও জানাব। স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরের শৌচাগারটি রোগী কল্যাণ সমিতির টাকায় সংস্কার করা হবে। অন্য অভিযোগগুলি নিয়ে মন্তেশ্বরের বিএমওএইচের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।” সুভাষবাবুর দাবি, চিকিৎসকের অভাব মিটলেই স্বাস্থ্য পরিষেবার অনেকটা উন্নতি হবে। |