বুধবার সিংমারি এলাকায়ত দলের সদর অফিসে বসে মোর্চার মুখ্যপাত্র কালিম্পঙের বিধায়ক হরকাবাহদুর ছেত্রী বলেন, “এখনও কেন্দ্রের তরফে সাড়া মেলেনি।” তিনি দাবি করেন, আন্দোলনের সিদ্ধান্ত জনতার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হবে না। মোর্চা আন্দোলন শুরু করলেও দাবিটা গোটা পাহাড়বাসীর। ৩০ অগস্ট গোর্খাল্যান্ড জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে সব কিছু নিয়ে আলোচনার পরে পরের কর্মসূচি ঠিক করা হবে বলে তিনি জানান।
এ দিন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি দিনভর দিল্লিতে নানা মহলে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। ঘটনাচক্রে, এ দিন শিলিগুড়িতে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে যোগ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি দ্রুত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “পাহাড়ের মানুষের আবেগকে সম্মান করি। তা বলে আলাদা রাজ্যের দাবি সমর্থন করতে পারব না। কিন্তু পাহাড়ে এখন যে অচলাবস্থা চলছে তাতে দ্রুত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে জিটিএ-র কাজকর্ম ও সমস্যা খতিয়ে দেখা দরকার। জিটিএ রাজ্যের সহযোগিতা কতটা পাচ্ছে সেটাও আলোচনা হওয়া দরকার। এটা আমরা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানিয়েছি। প্রয়োজনে পাহাড়ে যাব।”
পাশাপাশি, তাঁরা পাহাড়ে আলাদা রাজ্যের দাবিতে কোনও ইন্ধন দিচ্ছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তাও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দীপা। তিনি বলেন, “জিটিএ গঠনের পরে পাহাড়ের উন্নয়ন প্রকল্পের সমস্যা নিয়ে ওঁরা নানা মন্ত্রকে কথা বলতে চেয়েছিলেন। সে জন্য ওঁদের নিয়ে গিয়েছিলাম। ওঁরা কেন্দ্রের টাকা পেলেও রাজ্যের কাছ থেকে সব সহযোগিতা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিল। সে কথা শোনা হয়েছে। এতে অসুবিধে কোথায়? দার্জিলিঙের একটি মাত্র লোকসভা আসনের জন্য আমরা লালায়িত নই।” পাহাড়ের সাম্প্রতিক আন্দোলন শুরুর পরে নানা মামলায় যে সাড়ে ৮০০ মোর্চা নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই পদক্ষেপের সমালোচনা করেন দীপা।
কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর ‘এক্তিয়ার’ নিয়ে সমালোচনা করেছেন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “এখন পাহাড়ে যাওয়ার কথা বলছেন উনি। গত এক মাসে তো এক বারও যেতে দেখলাম না।” গৌতমবাবুর অভিযোগ, “দীপাদেবীরা চাইছেন না যে রাজ্য এক সঙ্গে থাকুক। পাহাড়ের সহজ মানুষের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছেন।” |