আন্দোলনের জেরে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ, বিরক্তি বাড়ছে। তাই এ বার শাখা সংগঠনগুলিকে আরও বেশি করে আন্দোলনে জড়িয়ে নিতে উদ্যোগী হল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বুধবার মোর্চার উদ্যোগে দার্জিলিং সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মালিধুরায় দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে বৈঠকে আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে মতও চাওয়া হয়। এমনকী, স্কুল-কলেজ, অফিস-দোকানপাট খোলা রেখে কী ভাবে আন্দোলন হতে পারে, সেই ব্যাপারেও লিখিত মত চাওয়া হয়। মোর্চা নেতাদের ধারণা, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাহাড়ের সাধারণ মানুষের ক্ষোভ যেমন কমবে, তেমন আন্দোলনেও জোর বাড়বে।
ওই বৈঠকের পরে সিংমারিতে দলের সদর অফিসে বসে মোর্চার মুখপাত্র তথা কালিম্পঙের বিধায়ক হরকাবাহদুর ছেত্রী বলেন, “স্কুল-কলেজ, অফিস বন্ধ রেখে মোর্চা যে আন্দোলন করছে, তা নিয়ে পাহাড়ের নানা স্তরে কী প্রতিক্রিয়া সেটা আমরা বোঝার চেষ্টা করছি।” সব মিলিয়ে ১৪৭ জন তাঁদের লিখিত মতামত দিয়েছেন। হরকাবাহাদুর বলেন, “আমরা খোলা মনে এই সব মতামত নিয়ে আলোচনা করব।” |
তিনি দাবি করেন, কোনও আন্দোলনের সিদ্ধান্ত জনতার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হবে না। কারণ, মোর্চা আন্দোলন শুরু করলেও দাবিটা গোটা পাহাড়বাসীর। আগামী ৩০ অগস্ট গোর্খাল্যান্ড জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে সব কিছু নিয়ে আলোচনার পরে পরের কর্মসূচি ঠিক করা হবে।
ঘটনাচক্রে, এদিন শিলিগুড়িতে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে যোগ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি দ্রুত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। সেই সঙ্গেই দীপা জানান, প্রয়োজনে তিনি পাহাড়ে যেতে পারেন। তাঁরা পাহাড়ে আলাদা রাজ্যের দাবিতে কোনও ইন্ধন দিচ্ছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তাও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দীপা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব অবশ্য বলেন, “দীপাদেবী এখন পাহাড়ে যাওয়ার কথা বলছেন। গত এক মাসে তো একবারও যেতে দেখলাম না।” গৌতমবাবু জানান, আজ, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে বৈঠক হবে। সেখানে পাহাড়ে ফের আরও খাদ্যসামগ্রী পাঠানো ও বিলি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এ দিকে, এ দিন একাধিক সংগঠন মিলে যৌথ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী মঞ্চ তৈরি হয়েছে শিলিগুড়িতে। |