গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সদ্য নির্বাচিত বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের শ্রীদাম মণ্ডল। বাসন্তীর বিডিওর কাছে তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েও দিয়েছেন। বিডিও সৌম্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান দু’জনেই ইস্তফা দিয়েছেন। তা গৃহীত হয়েছে। শীঘ্রই প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচনের দিন ঠিক করা হবে।”
তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই যে ইস্তফা তা মানতে চাননি তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় ১৮টি আসন। আরএসপি ২টি এবং অন্যান্যরা দখল করে একটি আসন। স্বাভাবিক নিয়মেই বোর্ড তৈরি করে তৃণমূল।
দলীয় সূত্রের খবর, গত ১৬ অগস্ট প্রধান নির্বাচনে অসিত প্লিলাইকে প্রধান করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শ্রীদাম মণ্ডল পঞ্চায়েত সদস্যদের বুঝিয়ে সুজিয়ে ভোটাভুটিতে যান। ভোটাভুটিতে দু’জন অনুপস্থিত থাকলেও শ্রীদাম ১০টি এবং অসিত ৬টি ভোট পান। এর পর শ্রীদাম প্রধান এবং শ্রাবণী সিংহ উপপ্রধান হন। কিন্তু দলের একাংশ এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে শ্রীদামকে প্রধানের পদ থেকে অপসারণ ও দলবিরোধী কাজের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানায়। দলীয় বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর এবং ব্লক নেতৃত্ব শ্রীদামকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেন। এই ঘটনার পরেই শ্রীদাম প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই শ্রীদাম এই কাণ্ড ঘটান। যদিও তৃণমূলের বাসন্তী ব্লক সভাপতি মান্নান শেখের বক্তব্য, “শ্রীদাম নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই নিজের থেকেই প্রধান পদে ইস্তফা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দল চিন্তাভাবনা করবে।” আর শ্রীদাম বলেন, “দল যা ভাল বুঝেছে সেটাই করেছে। এখন এ নিয়ে কিছু বলব না। আগে দেখি দল কী সিদ্ধান্ত নেয়। তার পর যা বলার বলব।” |