গৃহকর্ত্রীর মুখ-হাত বেঁধে ও মাথায় আঘাত করে জনা চারেকের দুষ্কৃতী দল কয়েক হাজার টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিল। ওই ডাকাতদলে একজন মহিলাও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। লুঠপাটের শেষে দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়ে একটি চিঠি রেখে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে চাকদহের বিষ্ণুপুরে শান্তিরঞ্জন সেনের বাড়িতে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা হানা দেয়। এ দিন পেশায় দলিল লেখক শান্তিবাবু বাড়িতে ছিলেন না। দোতলা বাড়ির উপরে ছিলেন শান্তিবাবুর স্ত্রী মিঠু সেন। নীচে দুই নাতির সঙ্গে ঘুমোচ্ছিলেন মিঠুদেবীর শাশুড়ি।
মাঝরাতে ঘরের খোলা দরজা দিয়ে দুষ্কৃতীরা সটান উপরে উঠে মিঠুদেবীর ঘরে ঢোকে। পরনে চুড়িদার ও হাতে ব্রেসলেট পড়া গাট্টাগোট্টা চেহারার মহিলা ডাকাত, মিঠুদেবীর হাত-মুখ বেঁধে ফেলে। নড়াচড়া করার চেষ্টা করতেই তাঁকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। লুটিয়ে পড়েন মিঠুদেবী। তারপর আলমারি ভেঙে বিনা বাধায় ‘অপারেশন’ চালায় দুষ্কৃতীরা। লুঠপাটের পর তারা হুমকি সম্বলিত একটি চিঠি রেখে যায়। মিঠুদেবী বলেন, “রাতে একবার শৌচাগারে গিয়েছিলাম। তারপর দরজা বন্ধ করতে খেয়াল ছিল না। সেই সুযোগে ডাকাতরা ঘরে ঢুকে আমাকে মারধর করে কয়েক হাজার টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে নিয়ে চম্পট দিল।”
শান্তিবাবুর ভাই কান্তি সেন বলেন, “লুঠপাটের পর দুষ্কৃতীরা বাইরে থেকে দরজা আটকে পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে বৌদিকে লেখা একটি চিঠি রেখে যায়। সেখানে লেখা আছে- যা নেওয়ার তা নিয়েছি। এই ঘটনার কথা কানাকানি করলে স্বামী ও দুই ছেলেকে হারাতে হবে।’”
কল্যাণীর এসডিপিও চন্দ্রশেখর বর্ধন বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ডাকাত দলে একজন মহিলা ছিল। সাধারণত এমনটা ঘটনা ঘটেনা। দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” |