জল ঢুকে |
৩০ হাজার পাঠ্যবই নষ্ট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কাঁসাই নদীর জল ঢুকে নষ্ট হয়ে গেল দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৩০ হাজার বই। গত সোমবার থেকে জল ঢোকার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও কেন ওই বইগুলি সরানো হয়নি এই প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের অন্দরেই। পড়ুয়াদের বই নষ্ট হয়ে যাওয়া নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। |
|
তমলুকে জলমগ্ন ভূমি সংস্কার দফতর |
টানা বৃষ্টি এবং কাঁসাইয়ের নদীবাঁধে ভাঙনে কিছু দিন ধরেই জলমগ্ন হয়ে রয়েছে পাঁশকুড়া ও তমলুক ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। জল ঢুকেছে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের ধারে অবস্থিত তমলুক বিডিও অফিস চত্বরে থাকা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসেও। আর সেখানেই জল ঢুকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৩০ হাজার বই নষ্ট হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জলে পড়ুয়াদের বই নষ্ট হওয়ার কথা মানছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) দীনবন্ধু নন্দীগ্রামী। তিনি বলেন, “প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য তমলুক ব্লক অফিস চত্বরে আমাদের দফতরের গুদামে প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার বই রাখা হয়েছিল। জল ঢোকার আগেই বেশীরভাগ বই সরানো গেলেও প্রায় ৩০ হাজার বই আমরা সরিয়ে ফেলতে পারিনি। ফলে মঙ্গলবার ওই অফিসে জল ঢুকে যাওয়ার বইগুলি আর বাঁচানো যায়নি। সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে।”
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি গোপাল সাহু অবশ্য বই নষ্ট হওয়ার জন্য জেলা সদরে গুদাম ঘর না থাকা ও আচমকা জল ঢুকে যাওয়াকেই দায়ী করেছেন। জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “কেন বইগুলি অন্যত্র সরানো হয়নি তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” |
|