|
|
|
|
নজরদারি জেলা পরিষদে |
কমিটি গড়ে দিলেন মমতাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর
|
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদে প্রথম ক্ষমতায় আসতে চলেছে তৃণমূল। কিন্তু অনেক আনকোরা প্রার্থী জেতায় তাঁদের প্রশাসনিক কাজের অভিজ্ঞতা নেই। এই পরিস্থিতিতে জেলা পরিষদের কাজকর্ম দেখভালে ৬ জনের একটি ‘মনিটরিং কমিটি’ তৈরি করে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর, কমিটিতে রয়েছেন মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি, গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো, শালবনির বিধায়ক তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্রীকান্ত মাহাতো, ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলুই। সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় এবং জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ। মঙ্গলবার কলকাতার টাউন হলে জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতির নাম চূড়ান্ত করেন। ‘নজরদারি কমিটি’র কথাও ঘোষণা করেন দলনেত্রী। জানিয়ে দেন, এই কমিটি জেলা পরিষদের কাজকর্মের উপর নজরদারি চালাবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর বৈঠকে বসবে। মঙ্গলবারের বৈঠকে জেলা পরিষদের দলনেতা হিসেবে নির্মল ঘোষের নাম ঘোষণা করা হয়। নির্মলবাবু জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি। ডেবরার থেকে জেলা পরিষদে জিতেছেন তিনি।
এ বার জেলা পরিষদের ৬৭টি আসনের মধ্যে ৬৪টিতেই জিতেছে তৃণমূল। ৫০ শতাংশ আসন মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরেই নতুন মুখের ছড়াছড়ি। এঁদের অনেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ফলে, তাঁদের কাজে নজরদারি প্রয়োজন। বুধবার তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎবাবু বলেন, “জেলা পরিষদের কাজকর্ম দেখভালের জন্য দলনেত্রী ‘মনিটরিং কমিটি’ করে দিয়েছেন। কমিটিতে ৬ জন রয়েছেন। এতে কাজেরই সুবিধে হবে। নির্বাচিত সদস্যরা কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে, কমিটিরকে জানাবেন। কমিটির সদস্যরা তাঁদের পরামর্শ দেবেন।”
এ দিকে, দলীয় সূত্রে খবর, সহ-সভাধিপতি হওয়ার দৌড়ে প্রথম সারিতেই নাম ছিল নির্মলবাবুর। পরে ঠিক হয়, জঙ্গলমহল থেকে নির্বাচিত কাউকে ওই পদে বসানো হবে। সেই মতো সহ-সভাধিপতি হন সমায় মান্ডি। মহিলা সংরক্ষিত সভাধিপতি পদটির পেয়েছেন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী উত্তরা সিংহ।
চলতি বছরের গোড়ায় মেদিনীপুরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ‘টাস্ক ফোর্স’ গড়ে দিয়েছিলেন। যেখানে ১৫ জন নেতা ছিলেন। পরে অভিযোগ ওঠে, ‘টাস্ক ফোর্স’ সে ভাবে সক্রিয় নয়। দলীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটের পরই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ‘টাস্ক ফোর্সের’ ধাঁচে জেলা পরিষদের কাজ দেখভালে ‘মনিটরিং কমিটি’ করা হবে। এক জেলা নেতা মানছেন, “জয়ী প্রার্থীদের অনেকেরই প্রশাসনিক ব্যবস্থায় কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই। এঁদের ‘গাইড’ করাটা জরুরি।” ‘নজরদারি কমিটি’ একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্বাচিত সদস্যদের কাজের পর্যালোচনা করবে। |
|
|
|
|
|