সন্দেহভাজনের স্কেচ তৈরি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
ব্যাঙ্ক লুঠের ঘটনায় এক সন্দেহভাজনের স্কেচ তৈরি করল পুলিশ। বুধবার পুলিশ যদিও সংবাদমাধ্যমের হাতে ওই স্কেচ তুলে দিতে রাজি হয়নি। পুলিশ সূত্রের খবর, স্কেচ বানানো ছাড়া বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৭৬ লক্ষ টাকা ডাকাতির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তদন্ত বিশেষ এগোয়নি। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করতে চাননি জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকরও। এ দিনই অবশ্য ঘটনার তদন্তে বোলপুরে এসে পৌঁছয় রাজ্য পুলিশের অপরাধ দমন শাখার একটি দল। ওই শাখার ওসি অতীশ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চার সদস্যের ওই প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাঙ্কের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বোলপুরের আইসি দেবকুমার রায় ও ব্যাঙ্ক লুঠের ঘটনার তদন্তকারী অফিসার নির্মল চক্রবর্তীও। ব্যাঙ্কের কর্মীদের বয়ান অনুযায়ী ডাকাত দলের এক সদস্যের চেহারার স্কেচ বানানো হয়। ব্যাঙ্ক কর্মীদের দাবি, স্কেচের ব্যক্তিটি আসলে ওই দুষ্কৃতী দলের পাণ্ডা। মঙ্গলবার সকালে তার নেতৃত্বেই ব্যাঙ্কের ভিতরে কর্মীদের মারধর করা হচ্ছিল। তারই নির্দেশে বাকিরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভল্টের চাবি খোলানোর ব্যবস্থা করেছিল। এ দিন রাজ্য অপরাধ দমন শাখার অফিসারেরা ও বোলপুর থানার পুলিশ ও প্রায় দু’ ঘণ্টা ধরে তদন্ত করেন। পাশাপাশি এলাকার দাগী দুষ্কৃতী এবং চুরি, ছিনতাইয়ে যুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের গতিবিধির উপরেও নজর রাখছে পুলিশ।
পুরনো খবর: ব্যাঙ্কে রক্ষী নেই, ৭৬ লক্ষ টাকা লুঠ বোলপুরে
|
বধূ খুনের অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইলামবাজার |
ভিতর থেকে বন্ধ বাড়ির সিলিং ফ্যানে এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল বিকেলেই। মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় রাতেই তাঁর স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে ভাইঝিকে খুন করার অভিযোগ দায়ের করলেন ওই বধূর কাকা। পাশাপাশি ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগও দায়ের হয়েছে। ইলামবাজার থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ইলামবাজারের তাতোর এলাকা থেকে বাড়ির দরজা ভেঙে সুস্মিতা পাল (২৩) নামে ওই বধূর দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। উদ্ধারের সময়ে বধূর স্বামী শ্যামচাঁদ পাল ও শাশুড়ি মায়ারানি পাল বাড়িতে ছিলেন না। ব্যবসার কাজে তাঁরা দু’জনেই বাইরে ছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। এ দিকে খয়রাশোলে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েন বাবা-মা। অল্প বয়সী মেয়ের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সুস্মিতাদেবীর পরিবার। মৃত বধূর কাকা বহ্নিজিৎ দাস রাতেই সুস্মিতার স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে ইলামবাজার থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ, সুস্মিতার উপরে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। তারই জেরে ওই বধূকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। এ দিকে পুলিশের দাবি, ঘটনার পর থেকেই ওই বধূর স্বামী ও শাশুড়ি পলাতক। দু’জনেরই খোঁজ চলছে।
|