মঙ্গলবার সকালের ঘণ্টা দেড়েকের তুমুল বৃষ্টিতে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা বানভাসি চেহারা নিয়েছে। রাস্তাঘাট তো বটেই, কিছু কিছু এলাকায় বসতবাড়ির ভিতরেও জল ঢুকে পড়েছে। রাস্তায় হাঁটু সমান জল। অলি-গলি, ডুবে যাওয়া রাস্তাস নিচু এলাকার ঘর-বানি, অফিস-কাছারির মধ্যেই জল থই থই। এই অবস্থায় অনেক স্কুলেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। বাজার দোকানেও জল ঢুকে যাওয়া যাওয়ায় অনর্গল পাম্প চালিয়ে তা বের করার চেষ্টা চলছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চারটি বড় মাপের পাম্প লাগিয়ে জল বের করার চেষ্টাও শুরু হয়েছে। ভাগীরথীর পূর্ব পাড়ে জিয়াগঞ্জ এলাকায় রয়েছে ১৩টি ওয়ার্ড। কয়েক বছর আগেও সামান্য বৃষ্টিতেই সে এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ত। আপাতত সে সমস্যা মিটেছে। কিন্তু শহরের সব জায়গায় সে সমস্যা মেটেনি। এ দিন ঘম্টাখানেকের বৃষ্টিতেই তাই হাঁটু সমান জল। তার কারণ মূলত দু’টি। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দত্ত বলেন, “ধোপঘাটির দিকে চলে যাওয়া নিকাশিনালাটিই কেবল ৩ ফুট চওড়া। শহরের বাকি সব নিকাশিনালা সরু। ফলে জল বের হতে পারে না। তা ছাড়া জিয়াগঞ্জ শহরটা কড়াই-এর মতো। চারদিক উঁচু আর মধ্যিখানটা নিচু। ফলে মাস্টার প্ল্যান করে নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে না তুললে স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।”
|
নিজের কলেজে পরীক্ষা দেওয়ার দাবি জানিয়ে কলেজের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাল মাজদিয়া সুধীরঞ্জন লাহিড়ি মহাবিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্র। ফলে অসুবিধায় পড়েন ওই কলেজে বিএ প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিতে আসা রানাঘাট কলেজ ও আসাননগর মদনমোহন তর্কালঙ্কার কলেজের পরীক্ষার্থীরা। পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মাজদিয়া কলেজের কয়েকজন ছাত্র বগুলা শ্রীকৃষ্ণ কলেজে পরীক্ষা দিতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয় ওই কলেজের কয়েকজন ছাত্র। তারই প্রতিবাদে আজ মাজদিয়া কলেজের ওই ছাত্ররা নিজেদের কলেজে বসে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ দেখায়। মাজদিয়া কলেজের অধ্যক্ষ সরজেন্দ্রনাথ কর বলেন, “আমাদের কলেজের কয়েকজন ছাত্র বগুলা কলেজে পরীক্ষা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুুমোদন নিয়েই তাদের জন্য কলেজে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” তবে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, “মাজদিয়া কলেজের ১৩ জন ছাত্রকে কলেজ তার নিজ দায়িত্বে ‘হোম সেন্টারে’ পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আমরা অনুমোদন দিইনি।” অন্য দিকে, অতিরিক্ত সময়ের দাবিতে কৃষ্ণনগর গর্ভমেন্ট কলেজে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে বগুলা কলেজের ছাত্রদের বিরুদ্ধে। তবে বগুলা কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের কলেজের ছাত্রদের মারধর করা হয়েছে।
|
বাণীকুমার রায়।
ফাইল চিত্র।
|
নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হলেন রানাঘাটের বাসিন্দা বাণীকুমার রায়। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জেলা পরিষদের সদস্য হলেন বাণীবাবু। প্রথমে কংগ্রেস করলেও পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। ১৯৮৩-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত হিজুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন তিনি। পরে পঞ্চায়েত ভাগ হলে ১৯৯৩-২০০৩ সাল পর্যন্ত হিজুলি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি প্রথম জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় তিনি দাঁড়াতে পারেননি। ওই বছর হিজুলি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হয়েছিলেন। বাণীবাবু বলেন, “আমাদের দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের উন্নয়নের জন্য যে পরিকল্পনা করেছেন তার বাস্তব রূপায়ণই হবে আমার লক্ষ্য। এ ব্যাপারে আমি বিরোধী দলের সদস্যদের কাছ থেকেও সবরকম সহযোগিতা আশা করছি।”
|