টুকরো খবর |
প্রধানকে শপথে বাধা, তৃণমূলের নামে নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধানকে শপথ নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে পিংলা ব্লকের বাড়পলাশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।এই গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭টি আসনের মধ্যে ১০টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু প্রধানের পদটি ওবিসি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূলের কোনও ওবিসি মহিলা জয়ী হতে পারেনি। ফলে সিপিএমের জয়ী প্রার্থী সালমা বিবি ওবিসি সদস্য হিসাবে প্রধান পদের জন্য দাবি জানান। ১৯ অগস্ট প্রধান পদে শপথ নেওয়ার দিন ঠিক ছিল। কিন্তু ওইদিন তৃণমূল সালমা বিবিকে শপথ নিতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। ফলে শপথ গ্রহণের পরবর্তী দিন ঠিক হয় মঙ্গলবার। এ দিনও সকালেই শপথ নেওয়ার জন্য সালমা বিবি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যান। অভিযোগ, পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জড়ো হওয়া তৃণমূলের লোকেরা তাঁকে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে দেয়নি। পরে তিনি পুলিশের সাহায্য চাইতে গেলে পুলিশও নিরাপত্তা দিতে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ। পরে তিনি বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানান। পিংলার বিডিও সুতপা নস্কর বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের নির্দেশমতোই কাজ হবে।” ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরপর দু’বার প্রধান পদে শপথ নেওয়ার দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। ফের যদি জেলা আবার দিন ঠিক করে দেয়, সেদিন পুলিশি নিরাপত্তায় প্রধানের শপথ নেওয়ার বিষয়টি ঠিক করা হবে। সালমা বিবির অভিযোগ, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে আমি জয়ী হয়েছি। নিয়ম মতো আমিই প্রধানের দাবিদার। তাই শপথ নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের সন্ত্রাসে শপথ নিতে পারলাম না। পুলিশ ও প্রশাসনের সাহায্যও মেলেনি।” পিংলা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম জানা অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। নাটক করার জন্য ওরা এসব রটাচ্ছে।”
|
অসহায় মহিলাকে শিক্ষক পাঠালেন হাসপাতালে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের অশক্ত শরীরে পড়েছিলেন এক মহিলা। পাশ দিয়ে অনেকেই যাতায়াত করেছেন। কিন্তু সে ভাবে কেউ ঘুরেও তাকাননি। খোঁজখবর নেননি। মঙ্গলবারই সেই মহিলাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলেন মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের (বালক) শিক্ষক দীপঙ্কর সন্নিগ্রাহী। ওই মহিলা এখন মেডিক্যালের ফিমেল ওয়ার্ডে চিকিত্সাধীন। এ দিন দুপুরে এক সহ- শিক্ষকের কাছ থেকে দীপঙ্করবাবু খবর পান বাসস্ট্যান্ডের একপাশে এক মহিলা পড়ে রয়েছেন। দীপঙ্করবাবুর কথায়, “আমারই এক সহকর্মী বাসস্ট্যান্ডে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আমাকে ফোন করেন। জানান, মহিলা অসহায় অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তারপরই আমি সেখানে যাই।” পরে একটি ট্রলিতে করে ওই মহিলাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। ফিমেল ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মহিলার নাম-পরিচয় অবশ্য জানা যায়নি।
|
ডাকাতির আগেই গ্রেফতার ৬ দুষ্কৃতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অস্ত্র-সহ ৬ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ডেবরা থানা এলাকার। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বন্দুক, একটি ভোজালি এবং একটি লোহার রড। এই রোড দিয়ে দোকানের তালা ভাঙা যায়। এক সূত্রের খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে সোমবার রাতে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে, ডেবরার হরিমতি হাইস্কুলের মাঠে কয়েকজন যুবক ঘোরাঘুরি করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ৬ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। অন্য দু’জন পালিয়ে যায়। ডাকাতির উদ্দেশে দুষ্কৃতীরা এক জায়গায় জড়ো হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। ওই যুবকদের সঙ্গে কোনও দুষ্টচক্রের যোগ রয়েছে কি না, তদন্তে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ হয়।
|
বজ্রপাতে মৃত দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বাজ পড়ে মৃত্যু হল দু’জনের। পৃথক দু’টি ঘটনা ঘটেছে সবং এবং খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে সবংয়ের দশগ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় এক যুবকের। মৃতের নাম শচীন্দ্রনাথ দাস (৩৮)। অন্য দিকে, খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকার কালুয়ায় মারা যান এক প্রৌঢ়। মৃতের নাম ঝাঁপু সিংহ (৫২)।
|
মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিএমের মিছিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ-সহ নানা দাবিতে মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরের কলেড় মোড়ে এক পথসভা করে সিপিএম। দলের শহর ২ নম্বর লোকাল কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচি। পরে একটি মিছিল বেরোয়। নেতৃত্বে ছিলেন লোকাল কমিটির সম্পাদক সুকুমার আচার্য।
|
স্কুলে শিবির |
উপভোক্তা সহায়তা শিবির করল রসকুণ্ডু হাইস্কুল। মঙ্গলবার স্কুলের উদ্যোগে স্কুলেই এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। উপভোক্তারা বিভিন্ন সময়ে জিনিস কেনাকাটা করে বঞ্চিত হন। কিন্তু কোনও ক্রেতা যদি বিক্রেতাকে ঠকায় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও যে আইনি সহায়তা পাওয়া যায় সে বিষয়ে সচেতনতা জাগাতেই এই শিবির। শিবিরে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক চঞ্চল চক্রবর্তী জানান, চিকিত্সা থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করতে গিয়ে ক্রেতাদের নানা সময়ে ঠকতে হয়। কিন্তু উপভোক্তাদেরও যে আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য সরকার ব্যবস্থা করেছে তা অনেকেরই অজানা। তাই সচেতন করার জন এই শিবির। |
|