|
|
|
|
নির্বাচিতকে না নিয়োগে বেতন বন্ধের নির্দেশ |
গৌর আচার্য • রায়গঞ্জ |
স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নির্দেশ থাকলেও, নির্বাচিত প্রার্থীকে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ পত্র না দেওয়ায় রায়গঞ্জের পাঁচভায়া হাইস্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক।
ইটাহারের মারনাই শরৎচন্দ্র হাইস্কুলের ভুগোলের শিক্ষক অভিজিৎ দত্ত ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দেন। ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে এসএসসি থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে অভিজিৎবাবুকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশ দেয়। যদিও স্কুলের পরিচালন সমিতি অভিজিৎবাবুকে ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের’ কারণে নিয়োগপত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বলে অভিযোগ। এবিষয়ে হাইকোর্টেও মামলা দায়ের করেন অভিজিৎবাবু।
গত ২১ অগস্ট জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর থেকে বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নারায়ণ সরকার বলেন, “নির্দেশ না মেনে স্কুল অভিজিৎবাবুকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপত্র দেয়নি। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায়, এসএসসির আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্তের জেরে শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীদের বেতন কেন বন্ধ হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্প আধিকারিক রেজানুল করিম তরফদার বলেন, “পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার আইন নেই। সমিতির অধীনে থাকা স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জইনুদ্দিন আহমেদ বেতন বন্ধের নির্দেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
কেন ওই অভিজিৎবাবুকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়নি? কংগ্রেস পরিচালিত পরিচালন সমিতির অভিযোগ, অভিজিৎবাবু এবিটিএ-র সক্রিয় সদস্য। তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিলে স্কুলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বৃদ্ধি পাবে। সমিতির সম্পাদক আব্দুল লতিবের অভিযোগ, “অভিজিৎবাবু প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপত্র নেওয়ার জন্য সমিতি বা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না করে একটি সংগঠনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। স্কুলে রাজনীতির অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বেতন চালুর বিষয়ে দেখা যাক কী করা যায়।”
সম্প্রতি এবিটিএর ইটাহার জোনাল সম্পাদক নির্বাচিত অভিজিৎবাবু বলেন, “এসএসসির সুপারিশ অনুযায়ী নিয়োগপত্রের জন্য স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগের নিয়ম নেই। আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।” এবিটিএর জেলা সম্পাদক বিপুল মৈত্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তিলকতীর্থ ভৌমিক বলেন, “আইন অনুযায়ী কোনও স্কুলের পরিচালন সমিতি সরকারি সুপারিশকে অগ্রাহ্য করতে পারে না।” |
|
|
|
|
|