নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কাউন্সেলিংয়ের সময় কলেজে ভর্তির জন্য যে টাকা পড়ুয়ারা জমা দিয়েছিলেন তার একাংশ তাদের ফেরৎ পাওয়ার কথা। কিন্তু বারবার অনুরোধ করার এক বছর পরেও টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ তুলে কলেজে ধর্মঘট ডেকে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্রছাত্রীরা। সোমবার শিলিগুড়ির ডাবগ্রামে পলিটেকনিক কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে। তার জেরে এ দিন কলেজের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে আভ্যন্তরীণ মূল্যায়ণের পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। এ দিন কলেজের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখান দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা। সঙ্গে ছিলেন তৃতীয় বর্ষের কিছু ছাত্রছাত্রী যাঁরা দ্বিতীয় শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজে ভর্তি হন। অধ্যক্ষ ঢুকতে গেলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে আন্দোলনরত ছাত্ররা তালা খুলে দিলে অধ্যক্ষ কলেজে যান। পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক করেন। স্টেট কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে শীঘ্রই পড়ুয়াদের ওই ফেরৎযোগ্য টাকা পাঠানোর আর্জি জানাবেন বলে আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের ওই টাকা যাতে পাঠানো হয় সে জন্য কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেন।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় কাউন্সেলিংয়ের পর ভর্তির সময় স্টেট কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশনে টাকা জমা দেন ছাত্রছাত্রীরা। তা থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি, পরীক্ষার ফি কেটে কলেজের ফি এবং বাকি টাকা সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষকে পাঠান তারা। কলেজ ফি কেটে বাকি টাকা ফেরৎ দেওয়া হয়। ৩১৪ জন গত বছর ভর্তি হয়েছে। অথচ কারও নাম না করে ২৭৮ জনের টাকা পাঠানো হয়েছে। বাকি ৩৬ জনের টাকা না আসায় তা বিলি করা যাচ্ছে না।
অধ্যক্ষ সুব্রত সরকার বলেন, “ওই টাকা দ্রুত পেতে চিঠিপত্রও পাঠানো হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের তা দেখানো হয়েছে। স্টেট কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশনের সঙ্গে কথা বলে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা পাঠাতে বলা হয়েছে। তাই বলে ছাত্র ধর্মঘট ডাকা ঠিক নয়।” অধ্যক্ষ জানান, এ দিন ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা ছিল। অনেকেরই প্রস্তুতি নেই বলে তাদের সন্দেহ। সে কারণেই এ ভাবে ধর্মঘট ডেকে পরীক্ষা বন্ধ করছে কিছু পড়ুয়া। আন্দোলনকারীদের দাবি, তারা ভর্তির সময় ৫০০ টাকা কাউন্সেলিংয়ের ফি-সহ ২৫০০ টাকা দেন। বিভিন্ন ফি কেটে নেওয়ার পর তাদের প্রত্যেকে ৯৫০ টাকা করে পাবেন। অথচ এক বছর তা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। |