রাজ্য সরকার কোনও ক্ষেত্রেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করছে না বলে অভিযোগ তুলে বিধানসভার ভিতরে-বাইরে ফের সরব হল বামফ্রন্ট।
পঞ্চায়েত ভোটের গণনায় অভূতপূর্ব কারচুপির অভিযোগ নিয়ে সোমবার বিধানসভায় মুলতবি প্রস্তাব আনে বামেরা। কিন্তু তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। প্রতিবাদে বাম বিধায়করা অল্প সময়ের জন্য বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন। পরে সে প্রসঙ্গে বিধানসভার বাইরে সরকারকে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
পাশাপাশি, এ দিনই সূর্যবাবু প্রেস ক্লাবে মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাম বিধায়কদের তোলা প্রশ্ন ও চিঠির সংকলনের দ্বিতীয় খণ্ড ‘এখনও জবাব মেলেনি’ প্রকাশ করেছেন। বই প্রকাশ করে তাঁর মন্তব্য, “রাজ্যপাল, প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের চিঠি লিখলে জবাব পাওয়া যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলে জবাব মেলে না!”
২০১২ সালের এপ্রিলে বাম পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে এমন চিঠির সংকলন প্রকাশ করেছিলেন সূর্যবাবু। দ্বিতীয় খণ্ডে ওই সময়ের পর থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত চিঠি ও নানা নথি রয়েছে। বিরোধী দলনেতার দাবি, “দু’বছরে আমরা দায়িত্বশীল বিরোধীর ভূমিকা পালন করেছি। কিন্তু বিধানসভার মধ্যে বেশির ভাগ প্রশ্নের আমাদের জবাব পাইনি। পেলেও তাতে অসঙ্গতি রয়েছে।”
গণতন্ত্র হত্যার আর এক নিদর্শন হিসাবে সূর্যবাবু বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের গণনায় নজিরবিহীন কারচুপি হয়েছে। যা নিয়ে আমাদের আনা মুলতবি প্রস্তাব বিধানসভায় আলোচনা হল না।”
সূর্যবাবুর অভিযোগ, বর্ধমানে এখন নতুন করে পঞ্চায়েতের ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে। অনেক জায়গায় একই কেন্দ্রে দু’জন জয়ের শংসাপত্র পেয়েছেন। সূর্যবাবুর ব্যাখ্যা, “অনেক জায়গায় সন্ত্রাস করে জয়ী বামেদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে তা নিয়ে মামলা হলে ব্যালট বাক্স আদালতে হাজির করতে হবে। তখনই ধরা পড়ে যাবে কারচুপি। সেটা ঠেকাতেই এখন নতুন ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে!”
সূর্যবাবুর আরও বক্তব্য, “নির্বাচন কমিশন এখনও ওয়েবাসাইটে মোট ভোটার, প্রদত্ত ভোট, বৈধ ভোট ইত্যাদি তথ্য আপলোড করতে পারেনি। এটাই কারচুপির অভিযোগের প্রমাণ।” তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বামেদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। |